ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ থেকে রক্ষায় দেশবাসীর দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

 

প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল। এটি শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের সবরকমের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে এই দূর্যোগে যেন বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন তিনি।

শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য আমাদের সবরকমের প্রস্তুতি আমাদের নেওয়া আছে। এমনকি ঝড় পরবর্তী রিলিফ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।

এদিকে শেষে খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূলের কাছাকাছি খুলনা জেলা ও সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে চলে এসেছে। এটি সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা জেলার দক্ষিণাংশের সুন্দরবনে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতোমধ্যে উপকূলের ৩১০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।

ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর জন্য শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ছয়টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বরিশাল, যশোর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এসব এলাকার সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

শ্রমিক লীগের সম্মেলনে শেষ হাসিনা তার দীর্ঘ বক্তব্যে শ্রমিকদের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা কৃষক, শ্রমিক, সরকারি ও বেসরকারি সবাইকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। দ্রুত অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের জন্য তিনি যে প্লাটফর্ম নিয়েছিলেন তাই ছিল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। যাকে অনেকেই বাকশাল বলেন। সে সময় বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রবৃদ্ধি ছিল সাতের উপরে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে চলে গিয়েছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য সে সময়ে এলো চরম আঘাত। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো। আমরা দুবোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। সেটা যদি চালু হতো তাহলে আমাদের এত পিছিয়ে থাকতে হতো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই কাজ করেছে। ৪২টি সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ টাকায় ৫০ লাখ মানুষকে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.