ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল ও লো-ভোল্টেজে অতীষ্ট বান্দরবানের তুংক্ষ্যং পাড়াবাসী

সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
বান্দরবান শহরের অদূরে কুহালং ইউনিয়নের তুংক্ষ্যং পাড়া এলাকায় ৮৩ পরিবারের বসবাস। এ পাড়ায় রয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৌদ্ধ বিহার, কমিউনিটি হল। এলাকার জনমানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। শহরের এলাকায় সাধারণ মানুষের বসতবাড়ীতে ৩-৪শত টাকার মতো বিদ্যুৎ বিল আসলেও। এ পাড়ায় রয়েছে বিদ্যুৎ বিলের ভিন্ন রকম। প্রতিটি বসতবাড়ীতে যেন ৩-৪ হাজার টাকার উপরে ৪-৫শত ইউনিটের বিদ্যুৎ বিলের কপি। প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতে হিমশিম খেয়ে পড়ে এ কৃষিজীবি পরিবার গুলো। এ ‍নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, অনেকে নতুন মিটার সংযোগ না নিয়ে সাব মিটার ব্যবহার করে একে অপরকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে। হয়তো এ কারনে বিদ্যুৎ বিল বেশী আসতে পারে মনে করা হচ্ছে। পাড়াবাসীর অভিযোগ নতুন মিটার নিতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। এত টাকা কৃষিজীবী পরিবার গুলো একসাথে দিতে না পারায় সাব মিটার হতে সংযোগ নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। সন্ধ্যার সময় স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের পড়া লেখা করতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। সেচ পাম্প মেশিন চালাতে না পারায় কৃষিতে এক মৌসুম চাষ করা গেলেও শুস্ক মৌসুমে চাষ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে জানান। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বাসিংমং মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনেক আগে বিদ্যুতের তার চুরি হয়েছে। কষ্ট করে পাড়ায় বিদ্যুতের পূনঃ সংযোগ আনা হয়। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিবেদন করা হলেও কোন সুরাহা হয় নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাড়াবাসীর সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, নতুন মিটারের ব্যয়ভার বহন করা প্রতিটি পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ সাব মিটার সংযোজন করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত অর্থ উৎকোচ দাবী করার কারনে নতুন মিটার সংযোজনে অনিহা প্রকাশ করে থাকেন পাড়াবাসী। এ নিয়ে অনেকের ক্ষোভ রয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.