টাইগার পাড়া-রূপালী ঝর্ণা সড়ক পূনঃ নির্মাণ: দ্বার উম্মোচিত হবে পর্যটন সম্ভাবনার

সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
পর্যটকদের আকর্ষণীয় করে তুলতে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়কগুলোকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করতে নেই কোন ঝুড়ি। সীমান্ত সড়ক, ডিম পাহাড়ের উঁচু সড়ক, কুরুকপাতা-পোয়ামুহরী সড়ক, বান্দরবান কেরানীহাট সড়ক, বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়ক, বান্দরবান-থানচি-চিম্বুক সড়ক এখন পর্যটকদের কাছে অনেক আকর্ষণীয়। প্রতিটা পাড়া মহল্লায় রাস্তা নির্মাণ, পূনঃ নির্মাণ কিংবা সংস্কার কাজ জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে চলতে থাকে।
নীলাচল রাস্তায় টাইগার পাড়া হয়ে রূপালী ঝর্ণা যাওয়ার রাস্তাটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হলেও কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন আর গাড়ী চালকরা গাড়ী চালিয়ে রূপালী ঝর্ণায় যান না। এই প্রতিবেদক কয়েকজন গাড়ী চালককে এই রাস্তা ব্যবহার না করে কেরানীহাট বান্দরবান সড়ক ব্যবহার করার কথা জিজ্ঞাসা করলে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় দূর্ঘটনার আশংকায় ব্যবহারের অনুপযোগী মনে করেন।
জুমচাষী লিটন কুমার তংচংগ্যা এর নিকট এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে, তিনি বলেন এই রাস্তায় আগে অনেক গাড়ী চলাচল করতো। পাড়াবাসী জনপ্রতিনিধির নিকট কোন সময় দাবীও রাখে না যে, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য। শুনেছি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড রাস্তাটি নির্মাণ করেছিল ব্রিকসলিং। চাইলে এই রাস্তা ব্রীক সলিং না করে কার্পেটিং/শিলকোট নির্মাণ করতে পারে। এখনও এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ১ হাজার এর উপরে মানুষ চলাচল করে পাঁয়ে হেঁেট মটর সাইকেল নিয়েও চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রুপালী ঝর্ণার উপরিভাগের রাস্তার অংশে একটু ডাউন করে মাটি কেটে যদি কানা পাড়া রাস্তার মতো সুন্দর করা যায় তাহলে জনগণের জন্য খুবই উপকার হবে। পর্যটকদের কাছে কানা পাড়া রাস্তার মতো আকর্ষণীয় হবে।
কলেজ শিক্ষার্থী অনিল কুমার চাকমা বলেন, দেখুন কেবি রোড থেকে কানা পাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত পুনঃ নির্মাণ না হওয়ায় শুনেছি কানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক রাজীব তার একান্ত প্রচেষ্টায় এলজিইডির অধীনে সড়কটি কার্পেটিং/শিলকোট করে নির্মিত হওয়ায় এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সড়কে পরিণত হয়ে পড়েছে। অনেকে তাঁবু নিয়ে স্টে করার জন্য যেতে দেখা যায়। তেমনি টাইগার পাড়া-রূপালী ঝর্ণা সড়কটি পূনঃ নির্মাণ করা হলে পর্যটকরাও চন্দ্রবিলাসে সমবেত হবে।
টাইগার পাড়া অনিল কারবারী ও আনন্দ তঞ্চঙ্গ্যা জানান যে, এই রাস্তা ৩নং বান্দরবান সদর ইউনিয়নের আওতায় পড়ায় সড়ক পথে পাড়া গ্রাম না থাকায় মেম্বার চেয়ারম্যানরা ভোট চাইতে যেতে হয় না। সড়কের একপাড়ে টাইগার পাড়া অন্য প্রান্তে সিনিয়র পাড়া তাই নির্বাচনী পথসভা গুলোও পাড়াতেই হয়। জনপ্রতিনিধিগণ কোন আবেদন নিবেদন না থাকায় হয়তো এখনও সড়ক নির্মাণ হচ্ছে না। তবে নীলাচলের অপূর্ব সৌন্দর্য্য অবলোকনের পর পর্যটকরা ঝর্ণা দেখতে শৈলপ্রপাত যায়। ঝর্ণা দেখার সৌন্দর্য্যে আবিভূত হতে রুপালী ঝর্ণাও পর্যটকদের চোখে কম আকর্ষণীয় নয়। কেরানীহাট বান্দরবান সড়ক ব্যবহার না করে পর্যটকবাহী জীপ টাইগার পাড়া হয়ে রুপালী ঝর্ণায় স্টে করলে হওতো এই সড়কই হিলভিউ পয়েন্ট স্থাপিত হতে পারে।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.