মধুপুরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১১৫৫ শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত

এস,এম আব্দুর রাজ্জাক

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৫৫ শিক্ষার্থীর মাধ্যমিকে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৩৭টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমোদিত আসন সংখ্যা কম থাকার ফলে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো নিয়ে অভিভাবকেরা চিন্তিত রয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, মধুপুরে ৩৭টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে প্রত্যেক শাখায় সর্বোচ্চ ৫৫ জন ভর্তির অনুমোদন রয়েছে। সেই হিসাবে সব মিলিয়ে এসব বিদ্যালয়ে এবার মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৫৯৫টি। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫০ জন।

ফলে আসনের তুলনায় বেশি রয়েছে ১ হাজার ১৫৫ শিক্ষার্থী। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম চলছে। নামকরা বিদ্যালয়গুলোতে ইতিমধ্যে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই শুরু হয়েছে।

মধুপুর রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পর গত শুক্রবার মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠিত দুটিতে লটারি হওয়ার পর অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়।

মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র দে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে তিনটি শাখার অনুমোদন রয়েছে। এ ছাড়া দুটি শাখা আবেদিত রয়েছে। আগে পাঁচটি শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি করে পাঠদান করানো হয়েছে। কিন্তু এবার প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক শুধু অনুমোদিত তিনটি শাখাতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হচ্ছে।’ পুণ্ডুরা গ্রামের এক শিক্ষার্থীর

অভিভাবক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ের নাম লটারিতে ওঠেনি। ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতেও লটারি হয়ে গেছে। এখন আমি মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কোথায় ভর্তি করাব? কোথায় পড়াব?’

মধুপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, যদি শিক্ষার্থীর আসনের চেয়ে বেশি হয়, সেক্ষেত্রে প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। মধুপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ বিধিমোতাবেক ৫৫ জনের অতিরিক্ত

একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি করানো যাবে না। আমাদের হিসাবমতে, মধুপুরে এক হাজারের মতো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী থেকে যাবে, যারা ভর্তিযোগ্য। তবে এ সমস্যার সমাধান নতুন শাখা অনুমোদনের মাধ্যমেই করা সম্ভব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.