বোনাস লাভের মাস রমযান

0
  লেখকঃ আবু হানিফ

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা

আল্লাহ তায়ালা যতগুলো  অফার বা বোনাস  তার বান্দাকে দিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রমযান মাস । এই রমযান মাসে আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ইবাদতের নেকীর পরিমাণ  অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করে দেন । ঈমানদারগণ  এগারোটি মাসে  ইবাদতের পরিমাণ কম করে  থাকলেও রমযান মাসে  শয়তানকে শিকল বন্দী করার কারণে  তারা ইবাদত করার প্রতি বেশি   ঝুঁকে পরে    মাহে রমযানের বরকতের খাতিরে ৷

প্রতি বছর রমযান  আসে আমাদেরকে তাকওয়াবান মানুষ হিসেবে তৈরি করে দুনিয়াবী কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি দিতে । রমযানকে ইবাদতের বসন্তকাল  হিসেব করে নিজের পাপকে মোচন করার সুযোগ নিতে হবে ।
এ মাসে প্রতিটি  আমলের নেকী বাড়িয়ে দেওয়া হয় । একবার  “সুবহানাল্লাহ” বললে সত্তর বার “সুবহানাল্লাহ” বলার সম পরিমাণ আল্লাহ তায়ালা  সওয়াব দান করেন ।   এতে একটি নফল একটি ফরযের সমান । একটি ফরয সত্তরটি  ফরযের সমান নেকি বৃদ্ধি  করে দেওয়া হয়।
 হাদিসে রাসূল (সা:) বলেন, আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের নেকি দশ গুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় । আল্লাহ তায়ালা বলেন , কেবল রোযা ছাড়া, কারণ তা (সিয়াম) আমার জন্য ।  তাই এর পুরস্কার  আমিই দেব । (  সহীহ  মুসলিম-১১৫১)।
 এই মাসের একটি বিরাট নিয়ামত হলো এই যে, এই মাসে জাহান্নমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় । বিশেষভাবে কবরের  অধিবাসীগণ উপকৃত হয় । তখন জাহান্নমের তাপমাত্রা কম থাকে ।
  হাদিসে বর্ণিত হয়েছে , কবরবাসীদের মধ্যে যারা জাহান্নামী তাদের জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দেয়া হয় যাতে তারা জাহান্নামের দুর্গন্ধ, তাপমাত্রা  ও কষ্ট অনুভব করতে পারে । আর যারা জান্নাতী তাদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় , যাতে তারা জান্নাতের সুগন্ধি, নির্মল বাতাস ও উহার সজীবতা অনুভব করতে পারে ।
রমযান মাসে বেশি বেশি নেক আমল , তারাবী, তাসবিহ – তাহলিল , দোয়া , জিকির- আজকার, দান – সদকা, তাহাজ্জুত সালাত, কুরআন তিলওয়াত   , ইফতার করানো   সম্ভব হলে ইফতার করানো; যত বেশি  নেক আমল  করতে পারা যায় ততই লাভ। আল্লাহ আমাদেরকে রমযানের  রোযা পালনের মাধ্যমে  আল্লাহর অশেষ রহমত লাভ করতে পারি সেই তৌফিক দান করুন   আমিন ৷
Leave A Reply