বাবা হারানোর ব্যথা ভুলতে পারেননি- চঞ্চল চৌধুরীর

মুহূর্তের কিছু স্মৃতি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে

বাবার মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে প্রায়ই স্মৃতিচারণ করছেন এপার-ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এখনও বাবা হারানোর ব্যথা ভুলতে পারেননি এই অভিনেতা। শনিবার (১৫ এপ্রিল) বাবার কথা মনে করে তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের কিছু স্মৃতি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।

চঞ্চল তার ফেসবুকে লিখেছেন, ইদানিং আমার চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা আর ব্যাক ব্রাশ করা চুল দেখলেই আমার ভাইবোনেরা বলে, আমি নাকি দেখতে দিন দিন বাবা’র মত হয়ে যাচ্ছি। বাংলা বছরের প্রথম দিনটা পার হয়ে গেল।অভ্যাসটা ছিল বাবা মাকে ফোন করে শুভ নববর্ষ বলা,আশীর্বাদ নেয়া।

 

 

 

এবার আর ফোনে বাবাকে পাইনি…. কয়েক মাস আগে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন অনন্তলোকে। আমার ভেতরটা যে কি কয়,কেমন করে বাবার জন্য,কাউকেই বোঝাতে পারিনা। হঠাৎ করেই যখন মনে হয় বাবা নেই….চারপাশটা অন্ধকার লাগে,দম বন্ধ হয়ে আসে।

এই অভিনেতা আরো লিখেছেন, বাবা ছাড়া কয়টা মাস,কি যেন এক ঘোরের মধ্যে বাস করছি। সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে যেন বাবা’র চলাফেরা। আজ গরমের মধ্যে যখন বসে আছি ড্রইং রুমে,বিদ্যুৎ নেই,হঠাৎ নিজেকে দেখেই চমকে উঠলাম। সত্যিই তো,আমি তো দেখতে

 

বাবা’র মতই হয়ে যাচ্ছি। বাবাকেও দেখতাম গরমের মধ্যে তালপাখা হাতে এরকম বসে থাকতে।

চঞ্চল আরো লেখেন, ছোট্ট বেলার আবছা রাতের স্মৃতি ভেসে উঠছে চোখের সামনে…. তখন গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি….. অবিচল দুটো হাত সারারাত পালাক্রমে তালপাখায় বাতাস দিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছে আমায়….
হাত দুটো ছিল বাবা আর মায়ের।  কি যে নেশা গো ঐ পাখার বাতাসে!!!ভেঁজা চোখে এখনও দেখতে পাচ্ছি ঐ হাত,দুটি হাত,তালপাখা।বাবা নেই,বাবা আমার কাছে বেশী করে আসে ইদানিং….. আজ রাতেও এলো এই গরমে,তালপাখা হাতে নিয়ে,আমাকে বাতাস দিয়ে ঘুম পাড়াতে॥

 

এর আগে, মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বাবা রাধা গোবিন্দ চৌধুরী (৯০)। বেশ কয়েক দিন আগেই অভিনেতার বাবার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিলো। তাঁর পর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পাশাপাশি ছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যাও।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.