দুদিন পরপর হিরো আলমকে নিয়ে ইস্যু, এর শেষ কোথায়

সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত এক নাম হিরো আলম। নানা সময় নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় থাকেন তিনি। কখনো গান গাওয়া, সিনেমা নির্মাণ, কবিতা আবৃত্তি কিংবা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন হিরো আলম। তবে সম্প্রতি এবার বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ‘রুচির দুর্ভিক্ষের কারণে সমাজে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন।

মামুনুর রশীদ হিরো আলম সম্পর্কে আরও বলেন, হিরো আলম সম্পর্কে আগে খুব একটা জানতাম না। নাট্যাঙ্গনের কয়েকজনের থেকে হিরো আলমের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হই। কয়েকজন বলার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে সংসদ নির্বাচন করছে, তাকে কেউ গাড়ি দিচ্ছে। সেই গাড়ির আবার ৯-১০ বছর ধরে কোনো ফিটনেস নেই। তাকে নিয়ে অনেক দিনই আমি বিরক্ত ছিলাম। এ নিয়েও বিরক্ত ছিলাম, দেশের মানুষের তো রুচির দুর্ভিক্ষ হয়ে গেছে। এই উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, আবার তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।

তার এই মন্তব্যের সূত্র ধরে সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন হিরো আলম। মামুনুর রশীদের কথার রেশ ধরেই হিরো আলম বললেন, ‘আমি আমার নিজ যোগ্যতা ও পরিশ্রম করে আজ আলম থেকে হিরো আলম। আমাকে নিয়ে যাদের রুচি হয় না সেই রুচিবান লোকেরাতো আর হিরো আলমকে তৈরি করেননি। এইজন্য রুচিবানরা বাংলাদেশ রুচি আনতে চাইলে হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। আপনাদের টাকা আছে, শ্রম আছে, অনেক কিছুই আছে কিন্তু আপনারা হিরো আলমকে তৈরি করতে পারবেন না। সর্বশেষ বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের কাছে হিরো আলম আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্যার.. আসুন আমাকে তৈরি করুন।’

তবে নেটিজেনরা বলছেন ভিন্নকথা। তারা জানতে চান দু’দিন পরপর কেন হিরো আলমকে নিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে, আর হিরো আলমই বা কেন সেসব ইস্যু নিয়ে বারবার কথা বলছে? এর শেষ কোথায়?

এমন প্রশ্ন হিরো আলমকে করা হলে তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ সমস্যার সমাধান করতে হলে যাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও রুচির সমস্যা আছে তাদের তা চেঞ্জ করতে হবে। আমরা আমাদের নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতেছি আর তা দেখে বাহিরের লোক হাসাহাসি করতেছে। এসব বন্ধ করতে হলে মানুষকে সম্মান দিতে হবে ভালোবাসতে হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.