বিএনপি না এলেও সময়মতো নির্বাচন হবে: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপি বা কেউ নির্বাচনে না এলেও তাতে কিছু যায়-আসে না। তবে আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসে।’

 

বিএনপি দলীয়ভাবে না এলেও দলটির একাংশ নির্বাচনে আসতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী।

শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

 

রাজ্জাক বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জানা যাবে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসবে কি না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি না আসলেও নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। দলীয়ভাবে না এলেও তাদের একাংশ নির্বাচনে আসতে পারে এবং অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

 

বিএনপির জন্য সবসময় সংলাপের দরজা আওয়ামী লীগ খোলা রাখবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেকোন সমস্যা সমাধানে সংলাপ সবচেয়ে ভালো উপায়। আওয়ামী লীগ সবসময় সংলাপকে স্বাগত জানাবে। তবে সংবিধানের আলোকেই সবকিছু হতে হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশে আবারও অরাজকতা তৈরির সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। আন্দোলন সংগ্রামের নামে ২০১৪-১৫ সালের মতো সহিংসতার পুনরাবৃত্তি কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। তাদেরকে কোন হরতাল অবরোধ করতে দেয়া হবে না। বিএনপির আন্দোলন মানেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৪ বছরে বিএনপি কোন আন্দোলনে সফল হতে পারেনি। এবারও তারা ব্যর্থ হবে, ব্যর্থ হয়ে আবারও নতুন কর্মসূচি দিবে। এই ব্যর্থ আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি চলতেই থাকবে।

 

শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাফল্যের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ মধুপুর। শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এ অঞ্চলের আলোকোজ্জ্বল বিদ্যাপীঠ। যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতিতে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত ৫০ বছরে এর সুনাম শুধু সারাদেশে নয়, দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে-যা গর্ব করার মতো। আশা করি, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এসময় আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

 

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.