ধনবাড়ীতে পুলিশ সদস্য ছুটিতে এছে বৃদ্ধার পা ভেঙে দিলেন

ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এক পুলিশ সদস্য তাঁর জেঠিকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারী মাজেদা বেগম (৬০)। সে উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বানিয়াজান উত্তর-পশ্চিম পাড়া গ্রামের কৃষক আ. মজিদ মিয়ার স্ত্রী। মাজেদা বেগম বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য একই গ্রামের মৃত শাহ-আলীর ছেলে মো. জহিরুল হক (৩২)।

 

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযুক্তের বিচার দাবিতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরেজমিনে গতকাল দুপুরে ভূক্তভোগী পরিবার, এলাকাবাসী ও স্থানীয় মাতাব্বারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাজেদা বেগমের পরিবারের সাথে ঝগড়া হয় পুলিশ সদস্য জহিরুল এর পরিবারের সাথে ।

 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গ সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসে পুলিশ সদস্য জহিরুল। বাড়িতে আসার পর আবারও ঝগড়া বাধলে ঘটনা স্থলেই মাজেদা বেগমকে পিটিয়ে ডান পায়ের গুড়ালি ভেঙে দেয় পুশিল সদস্য জহিরুল।

 

এ সময় আ. মজিদ ও তাঁর নাতি রনি এগিয়ে আসলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করে সে। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মাজেদা বেগমকে উদ্ধার করে ধনবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে পাঠায় এবং জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে ধনবাড়ী থানা পুলিশ এসে বিস্থারিত জানেন।মাজেদা বেগমের স্বামী আ. মাজিদ মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে এসে পুলিশ সদস্য জহিরুল ডেকে নিয়ে অযথা ঝগড়ার সৃষ্টি করে আমার স্ত্রীর পা ভেঙে দিয়েছে। আমাকে ও নাতিকেও পিটিয়েছে। আমরা বিচার চাই। ’মাজেদা বেগমের নাতি রনি বলেন, ‘নানিকে ডেকে নিয়ে সাথে থাকা হ্যান্ডকাপ দিয়ে পিটাতে শুরু করে। কোন উপয়ান্ত না পেয়ে ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানাই।

 

বর্তমানে জহিরুল ঢাকা গুলশান ১ এ ট্রাফিক পুলিশে কমরর্ত আছে বলে জানাযায়।’এলাবাসী জানান পুলিশ সদস্য জহিরুল এর দাপটে এলাকার মানুষ কিছু বলার সাহস পায় না। পুলিশ সদস্য জহিরুল ছুটিতে এসে নানা অপকর্ম করলেও দেখার যেন কেউ নেই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা জহিরুলের ভাবি চায়না বেগম ও ভাগ্নে আবু রায়হান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।স্থানীয় মাতাব্বার আনিছ মিয়া, ফরিদ হোসেন ও আ. মজিদ মিয়া বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকা- পুলিশ সদস্য হিসাবে তাঁর করা ঠিক হয়নি।’ এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্য জহিরুলর ব্যবহিত মোবাইল নম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

ধনবাড়ী থানার উপরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এলাকাবাসী ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে অফিসার পাঠানো হয়েছিল। ভূক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.