মুরগি কেনার সার্মথ্য নেই কাটা বয়লারে আগ্রহ

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)ঃফুলকুনি বেগম মুরগির দোকানে গিয়ে দোকানদারকে বলেন,এক পোয়া বয়লারের গোস্ত দেনতো।তখন দোকানদার বলেন,এক পোয়ার দাম ৬০ টাকা।৬০ টাকা দিয়ে কিনলেন মুরগির মাংস ফুলকুনি বেগম।এরপর পাশে সবজির দোকানে আড়াই শ’ গ্রাম পটল,৪০০গ্রাম বেগুন আর এক কেজি আলু কিনলেন তিনি।কাটা মুরগির কবে থেকে কিনছেন জানতে চাইলে ফুলকুনি বেগম বলেন,মুই গত রোজা থাকি কিনং কাটা মুরগি।আগত মুরগির দাম কম আছলো মুরগি কিনছুনুং।এখন দাম হইছে কেমন করি কিনিম।সেই জন্যে মুই কাটা মুরগি কিনং।যেইকনা নাগে সেইখনা কেনং।

 

সবগুলার জিনিষের দাম বাড়ছে।শুধু ফুলকুনি বেগমে নন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৫০% মানুষেই আগের তুলনায় কাটা বয়লার মাংসের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের।একবছর আগে ব্রয়লা মুরগির দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০টাকা সেই মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে এখন কেজিতে ৭০থেকে ৮০টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা।পাকিস্তানি কক ও সোনালী মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০টাকা।

 

এখন সেই মুরগি কিনতে হচ্ছে ২৮০থেকে ২৯০টাকা।তাই ক্রেতা কমেছে।তবে কাটা মুরগির ক্রেতা বাড়ছে।যে ক্রেতা আগে কিনতো দেড় কেজি মুরগি,সে এখন কিনতেছে আড়াই শ গ্রাম থেকে আধা কেজি কাটা মুরগি।খোজ নিয়ে জানাযায়,মাগাড়া বাজারে সামর্থ্যবান ক্রেতার চেয়ে নি¤œ ও মধ্যবিত্তের ক্রেতার সংখ্যা বেশি।কিছু সাধারন ক্রেতারা বলেন,মুরগির দাম বাড়লে আর কমে না,কমলেও পূর্বের দামের তুলনায় খুব অল্পই কমে।নিজেদেও সামর্থ্য বুঝে ক্রয়সীমার মধেই প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করছেন তারা।

 

মাগুড়া বাজারে মুরগি দোকানে কথা ক্রেতা বাবুর সঙ্গে। তিনি জানান, কক মুরগি কিনতাম ১৭০-১৮০টাকায়।সেই কক এখন কিনতে হচ্ছে ২৮০-২৯০টাকা।কেজিতে বাড়ছে ১০০টাকা।কিন্তু আমাদের কাম-কাজের মুল্যতো বাড়ে নাই।তাই কক খাওয়া বাদ দিয়া বয়লা কিনে খাইতেছি।বাজতে তো হবে।এদিকে এক কৃষক লেয়ার কিনতে এসে কাটা ব্রয়লার কেনেন।সাদা লেয়ার ২৪০টাকা এবং লাল ২৫০টাকা কিনতাম।সেই লেয়ার এখন কিনতে হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০টাকা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.