- কিশোরগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৬৯ শতাংশ জমি উদ্ধার - November 7, 2024
- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে কিশোরগঞ্জে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য র্যালি - November 7, 2024
- ৭নভেম্বার ঐতিহাসিক মহাবিপ্লবের নাম - November 7, 2024
সেলিম হোসেন,গোপালপুর টাংগাইল
গোপালপুরে স্ত্রী সুনিকাকে পরিকল্পিতভাবে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামী স্বামী সুমন (৩১) কে ২৪ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুমন ঘাটাইল উপজেলার লাউয়া গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের শিমলা পাড়া দুলাল হোসেনের মেয়ে সুনিকা খাতুনের (২৫) সাথে ২০১৭ সালের ২০এপ্রিল ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনিকা স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। এর আগে সুমন আরেকটি বিয়ে করেছে। সে ঘরে সন্তান আছে। যে কারনে সুনিকার সাথে স্বামী সর্বদা ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত থাকে।
এক বছর পূর্বে সুনিকাকে সুমন বাবার বাড়ী থেকে ঘর-সংসার করার জন্য শিমলাপাড়া রেখে যায়। আর তখন থেকেই মাঝে মাঝে সে সুনিকার কাছে এসে থাকতেন এবং প্রায়ই খারাপ আচরণ করে চলে যেতেন। গত ২০ মে সুমন পূর্বের ন্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে শশুড়বাড়ী এসে রাত্রিযাপন করেন। পরের দিন সুমন ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায় স্ত্রীকে হত্যা করে। ঝগড়ার শব্দ শুনে সুনিকার মা এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মেয়েকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন।
সুমন শাশুড়ীকে ঘরে প্রবেশ করতেই বলেন, সুনিকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে ডাক্তার দেখাতে হবে। ডাক্তার আনার কথা বলে সুমন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সুনিকার বাবা দুলাল হোসেন বাদি হয়ে সুমনকে একমাত্র আসামী করে গোপালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুমনকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে গোপালপুর থানা পুলিশ। পরে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.