বরগুনায় ২টিতে আ’লীগ, ৩টিতে স্বতন্ত্র

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৯ হাজার ৯২২ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) মো. মনিরুল ইসলাম মনির নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ালী উল্লাহ অলি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৫০ ভোট। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে
মো. ইমরান হোসেন রাসেল ফরাজী (তালা) নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফ হোসেন মোল্লা (টিউবয়েল) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৫২ভোট।অপরদিকে, সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪২ হাজার ২৬১ ভোট পেয়ে শামিমা সুলতানা মুন্নি (ফুটবল) নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা আসমা পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৬৬ ভোট। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আমতলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার ফোরকান (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুদ্দিন আহমেদ সজু (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৩৬ ভোট। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিএম দেলোয়ার হোসেন ৩ হাজার ৬১২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মজিবুর রহমান (টিয়া) পেয়েছেন ৩১ হাজার ২২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোয়াজ্জেম হোসেন খান (টিউবয়েলে) পেয়েছেন ২৭ হাজার ৫২১ ভোট।

অপরদিকে, সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না আপরোজ মনি (কলস) ৩২ হাজার ৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদা আকতার জোছনা পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৪৫ ভোট। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বেতাগী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাকসুদুর রহমান ফোরকান (নৌকা) ২৯ হাজার ৯৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান কবির (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমিরুল ইসলাম পিন্টু (তালা) ২৪ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদুল হাসান মহসিন (টিউবয়েল) পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯ ভোট।

অপরদিকে, সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদা খানম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপু রানী দাশ ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৮৫ ভোট। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বামনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান বামনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুর্তাজা আহসান দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৫২ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলতাফ হোসেন হাওলাদার। তিনি চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াসিন আরাফাত তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ১০২ ভোট।

অপরদিকে সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন রুমী খানম। তিনি ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুন নাহার নাজু কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৩৯ ভোট। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

পাথরঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলমগীর কবির দাদু নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮০২ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হাফিজুর রহমান সোহাগ। তিনি তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শওকত হাচার রমিম টিউবয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৭২ ভোট।

সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন। তিনি কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৯৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়াসিন আরা বেগম ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৩২ ভোট। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।