- সন্ত্রাসী কতৃর্ক হামলায় ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ ধনবাড়ীতে সংবাদ সম্মেল - November 11, 2024
- আওনা ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবেমিনারা বেগম এর দায়িত্ব গ্রহণ - November 11, 2024
- ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জগদ্ধাত্রী পূজা - November 11, 2024
মো.মিজানুর রহমান নাদিম,বরগুনা থেকে:
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মোঘল স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে যে কয়টি মসজিদ রয়েছে তারই মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো বরগুনার বিবিচিনি শাহী মসজিদ। আয়তনে অতটা বৃহত্ না হলেও প্রায় সাড়ে তিনশ বছর পুরোনো এই মসজিদটির স্থাপত্য রীতিতে মোগল ভাবধারার ছাপ সুস্পষ্ট। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা সদর থেকে ১০ কি. মি. দূরে বিবিচিনি ইউনিয়নে এই মসজিদটি অবস্থিত। এলাকার অধিকাংশ মানুষের মতে ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্ল¬াহ (র.) পারস্য থেকে এই এলাকায় ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এসে বিবিচিনিতে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। তার কন্যা চিনিবিবি এবং ইসাবিবির নামানুসারে বিবিচিনি গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে এবং মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে বিবিচিনি শাহী মসজিদ। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৩ ফুট এবং প্রস্থ ৩৩ ফুট। চারদিকের দেয়ালগুলো ৬ ফুট চওড়া এবং এর গাঁথুনিতে ব্যবহূত ইটগুলো মোগল আমলের ইটের মাপের সমান। সমতল ভূমি থেকে মসজিদের স্থান বা ভিত্তিভূমিটি প্রায় ৩০ ফুট টিলার উপর অবস্থিত। তবে তার উপরও প্রায় ২৫ ফুট উঁচুতে রয়েছে মসজিদের মূল স্থানটি। এ ছাড়া মসজিদের পাশে রয়েছে ৩টি কবর। কবর ৩টি সাধারণ কবরের মতো হলেও লম্বা ১৫/১৬ হাত এবং এটিই এই কবরগুলোর ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য। এলাকাবাসীর মতে সেখানে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শাহ্ নেয়ামত উল¬াহ্ (র.) এবং তার কন্যা চিনিবিবি এবং ইসাবিবি। আরও জানা যায়, সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে হযরত শাহ্ নেয়ামত উল্ল¬াহ্ (র.) পরলোকগমন করেন এবং মসজিদের পার্শ্বে তাকে সমাহিত করা হয়।
আবদুল হাই নামের ওই তত্ত্বাবধায়ক জানান, ১৯৯৩ সালে মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সংস্কারের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ অর্থ বরাদ্দ দেয়। এরপর মসজিদের পুরোনো নকশা অক্ষুণ্ন রেখে কিছু সংস্কার হলেও সে কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। তিনি জানা ন, মসজিদটির সামনের রাস্তাটির অবস্থা শোচনীয়। বিশুদ্ধ পানি, অজু ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হয়। এ ছাড়া মসজিদের টিলার চারপাশের মাটি কেটে সে জমিতে চাষাবাদ করায় মসজিদটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক জানান, মসজিদটিতে ওঠানামার জন্য যে সিঁড়ি রয়েছে, তাও দেবে গেছে। এতে মুসল্লি ও পর্যটকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।