ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে সাকিব আল হাসান!

পদত্যাগ ও মৃ’ত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে উপনির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পর্যায়ের অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দলের ওপর মহলে যোগাযোগ করছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

এসব আসনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নবনির্বাচিত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ছেড়ে দেওয়া আসনে (ঢাকা-১০) দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে চমক দেখাতে পারে আওয়ামী লীগ। এ আসনে ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এবং কয়েকজন হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বের নাম আলোচনায় রয়েছে।

শূন্য হওয়া আসনগুলোর সাংসদদের সবাই আওয়ামী লীগের ছিলেন। এসব আসনে যোগ্য ও দলীয় রাজনীতিতে পরীক্ষিতদেরই মনোনয়ন দেবে দলটি। শূন্য হওয়া আসনগুলোয় উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা জারি করেনি। তবে শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের বিধান রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে একই সঙ্গে পাঁচটি আসনে নির্বাচন হতে পারে।

গত ২১ জানুয়ারি মারা যান যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের এমপি সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। ১৮ জানুয়ারি মৃ’ত্যুবরণ করেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের এমপি আবদুল মান্নান। ১০ জানুয়ারি মারা যান বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি মোজাম্মেল হোসেন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মৃ’ত্যুবরণ করেন গাইবান্ধা-৩ আসনের এমপি ইউনুস আলী সরকার।

এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন ঢাকা-১০ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ আসনে উপনির্বাচনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ফজলে নূর তাপসের স্ত্রী আফরিন তাপস, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নাম আলোচনায় আনছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সূত্র জানিয়েছে, এ আসনে প্রার্থী মনোনয়নে চমক থাকবে। এ হিসেবে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি বা সাকিব আল হাসানকে দেখা যেতে পারে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ চলছে। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের অবস্থান কেমন, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, দলের প্রতি আনুগত্য ও ত্যাগ রয়েছে এমন সবকিছু মিলিয়েই দেখা হচ্ছে। এর পর সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.