Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
মো.মিজানুর রহমান নাদিম, বরগুনা প্রতিনিধি :
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের পায়রা, বিশখালী,বলেশ্বর যেখানে মিলছে তিন নদীর মোহনায় স্নিগ্ধ বেলাভূমি ‘শুভ সন্ধ্যার’ বিস্তীর্ণ বালুচরে আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম বারের মত দেশের সবচেয়ে বড় জোছনা উৎসব।এ উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বরগুনার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে এ উৎসবে যোগ করা হয়েছে নানা আয়োজন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,শুভ সন্ধ্যার’বেলাভূমিতে একদিকে সাগরের সীমাহীন জলরাশি।আরেক দিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। দীর্ঘ ঝাউবন, আরেক দিকে তিন তিনটি বিশাল নদীর জলমোহনা। সবমিলিয়ে নদ-নদী আর বন-বনানীর এক অপরূপ সমাহার।এই উৎসব কে ঘিরে ইতি মধ্যে কাজ প্রায় সম্পুর্ন হয়েছে।এবারের জোছনা উৎসবে জোছনাবিলাসী একাকার হবে জোছনা প্রেমিকরা
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবারের জোছনা উৎসবে বরগুনা থেকে চারটি দোতলা লঞ্চ সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বরগুনার খাগদোন নদী হয়ে বাইনচটকীর স্নিগ্ধ বনভূমির পাশ দিয়ে কুমীরমারা আর গোড়াপদ্মার নয়নাভিরাম বন-বনানীর কোল ঘেঁষে বিকেল পাঁচটার দিকে লঞ্চ পোঁছবে শুভসন্ধ্যার চরে। এরপর সেই স্নিগ্ধ বালুচরে শেষ বিকেলের ঘোরাঘুরির পর রাতভর জোছনার গান, রাখাইন নৃত্য, বাউল সঙ্গীত, মোহনীয় বাঁশির সুর, যাদু প্রদর্শনী, পুঁথিপাঠ মিনি যাত্রা এবং কবিতা আবৃত্তির সাথে সাথে জল-জোছনায় অবগাহন হবে সবার। শুভ সন্ধ্যা সৈকতে শুরু হয়েছে বাহারি পণ্যের পসরা সাজানোর প্রস্তুতি এবং জোছনা উৎসবে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ রাজধানী ঢাকা এবং দেশ বিদেশের প্রায় ত্রিশ হাজার পর্যটক ভিড় জমাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।শীতের হিম হাওয়ার এই উৎসবে ১০ বছরের কমবয়সী শিশুদের নিয়ে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি নারী ও পুরুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে। মূল স্টেজের পেছনেই থাকছে নারীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। স্টেজ থেকে একটু দক্ষিণে ঝাউবন ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে নারী ও শিশুদের জন্য বিশ্রামাগার।চাঁদনী রাতে তিন নদীর জলমোহনায় ছোট ছোট ট্রলার ভাড়া করে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর জন্য থাকছে ভাড়ায় চালিত ট্রলারের সুব্যবস্থা এবং র্যাব ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।
জোছনা উৎসবের উদ্যোক্তা সোহেল হাফিজ জানান, বন্ধুদের নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে যে উৎসবটি আমরা শুরু করেছিলাম তা আজ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের কাছে একটি প্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে এবং প্রতিবছর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বরগুনায় পালিত হয়ে আসছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.