সরিষাবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে বিএনপির দু-গ্রপে সংঘর্ষ বাডীঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট

স্টাফ রিপোর্টার :

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তর কে কেন্দ্র করে বিএনপির দু- গ্রুপে সংঘর্ষ বসত বাডী ঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিযনের মহাদান ও সানাকৈর গ্রামের বিএনপি’র নেতা ও কর্মীর স্থাপনা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।


স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের মহাদান গ্রামের তালতলা দহের বটতলা এলাকায় তালতলা দহ দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল এর সমর্থকরা এক ভোজের আয়োজন করেন।

এ সময় মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন মাস্টারের সমর্থকরা অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের সমর্থকদের ভোজ অনুষ্ঠানের উপর হামলা চালিয়ে চেয়ার ও রান্না করা খাবার বিনষ্ট করে বলে অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল অপর নেতা মাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে চাপা খোঁজ বিরাজের এক পর্যায়ে দূ-গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে জেলা বিএনপির পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল এর সমর্থকরা উপজেলা বিএনপির সদস্য ইসাহাক আলীর, লিটন মিয়ার,সুমন মিয়ার ও মহাদান ইউনিয়ন যুবদলের অর্থ সম্পাদক বাবু মিয়ার বসত বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে।

এ ছাড়াও সানাকৈর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াদুদ আলীর , কোরবান আলী ও মানিক মিয়ার বসতবাড়ী ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে। এদিকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ্ইসমাইল হোসেন লিটন এর সমর্থকরা অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল এর সমর্থক মিজানুর রহমান ও নুরুল ইসলাম নূরীর বাডী ও মোটর সাইকেল সহ আসবাবও টিভি ফ্রীজ ভাঙচুর করে।

এছাড়াও সেঙ্গুয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি ছাপরা টিনের ঘর নিয়ে যায় এবং নুরুল ইসলামের স্ত্রী ও দুই কন্যাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বিএনপি সমর্থকরা ।

হামলা চলাকালীন সময়ে মারধরের শিকার হন ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন,নুর ইসলাম নুরী ও আমজাদ হোসেন আহত হন ।

গুরুতর আহত আকরাম হোসেনকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং আমজাদ হোসেনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরিষাবাডীতে অবস্থানরত সেনা সদস্যরা ও সরিষাবাডী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য ও সাবেক মেম্বার ইসাহাক আলী বলেন, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল এর নেতৃত্বে আমার এবং আমার ভাতিজার বসত বাডী ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে।

এ বিষয়টি আমি জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও সেনা ক্যাম্পে এবং পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি । আমি প্রশাসন ও দলের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তীর দাবি করছি।

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির পরিবেশ ও জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল বলেন, নিজ দলীয় লোকের অনুষ্ঠানের উপর হামলা ভাংচুরের ঘটনা এটি কাম্য নয় । আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ ব্যাপারে মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন বলেন, আমাদের লোকজনের উপর বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে বসত বাড়ীতে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ এবং মারধর করে আহত করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

জানতে চাইলে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। আমি আগামীকাল এ বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত জানাবো।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, তালতলা দহ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওযায় উভয় পক্ষের বসত ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি ।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.