কুরবানীর পশু বিক্রির অবৈধ হাট রাজস্ব বঞ্চিত সরকার

স্টাফ রিপোর্টার:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় চলছে পশুর হাট।উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় প্রভাশালীরা এ হাট বসিয়ে অর্থ আদায় করছে। অপরদিকে সরকারিভাবে ইজারা নেওয়া হাটের ইজারাদারগন পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
অবৈধ পশু বিক্রির হাট বন্ধে প্রশাসনের প্রতি লিখিত অভিযোগ জানিয়েও পাওয়া যায় নি কোন প্রতিকার।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক জানান এখন পর্যন্ত ১১ই জুন পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অস্থায়ী পশুর হাটে কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি।
সরকারিভাবে ভাবে দুইটি হাট ইজারা দেওয়া হয়। প্রতি রবিবার, বুধবার ও শুক্রবার এ তিন দিন দুইটি হাট বসে।এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ ইজারাদারগন।
আইন থাকলেও নেই তার কোন প্রয়োগ,অনুমোদনহীন কোরবানির পশু বিক্রির হাট বসানোর বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে চর জামিরা গ্রামের সাইদুর রহমান অভিযোগ করেন।

অস্থায়ী হাটগুলো হলো উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর জামিরা,পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ইসরাফিল আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ,আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট হাট,ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল বালুর চর মাঠে, ভবানীপুর তেতুল তলা, পোগলদিঘা মহাবিদ্যালয় মাঠে সোলায়মান গত মঙ্গলবার হাট বসান। এটি আগামী শুক্রবারেও বসাবেন বলে জানান তিনি।
জগনাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট অস্থায়ী পশুর হাট পরিচালনা করে আসছে আওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের ছোট ভাই ওয়াজেদ আলী,ডোয়াইল বালুর মাঠে সাবেক ইউপি মেম্বার মোবারক হোসেন ও নুরুল ইসলাম,বয়ড়া ইসরাইল আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই,চর জামিরা বাজারে উজ্জল মিয়া , কখন দিঘা মহাবিদ্যালয় মাঠে দেলোয়ার হোসেন, ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর তেতুলা এলাকায় আলমগীর হোসেন বৃহস্পতিবার ও শনিবার হাট বসাবেন বলে জানান তিনি।

সাতপোয়া ইউনিয়নের চর জামিরা বাজারে অনুমোদন ছাড়াই অস্থায়ী হাট বসালে এ লিখিত অভিযোগ জানান এলাকাবাসীর পক্ষে সাইদুর রহমান। তিনি জানান,অনুমোদনের উপেক্ষা করে বেআইনি ভাবে গত মঙ্গলবার ৪ জুন গরুর হাট
দিয়ে রওনা ফি আদায় করেছেন একটি চক্র। অভিযোগে আরো বলেন,অনুমোদনহীন হাটে কিভাবে রনা ফি আদায় করা হলো সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আবারো হাট বসানোর পরিকল্পনা করছে বলেও সাইদুর রহমান বলেন,হাট বন্ধের বিষয়ে মৌখিকভাবে অবগত করলে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেন উপজেলা প্রশাসন। লিখিত অভিযোগ দিয়েও আইন অমান্য করে হাট বসানোর বিষয়ে প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখিনি।

হাট ইজারাদারগন জানান,সরকারিভাবে হাট ইজারা নেওয়া হয়েছে।সরকারি কোষাগারে অর্থ নিয়ে হাট পরিচালনা করে আসছি। যদি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র হাট বসানো হয় তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বো।অর্থের বিনিময়ে আমরা হাট ডেকে নেই,বছরের এই ঈদের সময়ে আমাদের হাটে পশু বিক্রি হলে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারি। প্রশাসনের প্রতি অস্থায়ী হাট বন্ধের বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান তারা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে।হাট বসিয়ে থাকলে বিষয়টি দেখা হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.