গোপালপুরে এক নার্সের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কামরুন্নাহার সিমা আক্তার নামে এক নার্সের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন তার সাবেক স্বামী নবি নেওয়াজ। সিমা গোপালপুর উপজেলার চন্দ গ্রামের শাজাহান আলীর মেয়ে। তার স্বামীর অভিযোগ, সিমা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সের চাকরির আড়ালে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সম্প্রতি সিমার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, সিমা ভালোবেসে বিয়ে করেন কুমিল্লার ছেলে নবি নেওয়াজকে। বিয়ের পর তাদের সংসার জীবন ভালো চলছিল। একসময় নেয়াজ সিমাকে টাকার বিনিময়ে নার্সিং পেশায় সরকারি চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর থেকেই তাদের সংসারে বিচ্ছেদ শুরু হয়। নবী নেয়াজ বলেন, আমি ভালোবেসে সীমাকে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরও সংসার টিকাতে পারিনি। বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও সিমাকে বিভিন্নভাবে অনেক টাকা দিয়েছি যা দিয়ে সিমা স্বর্ণের গহনাসহ ঘরের ফার্নিচার কিনেছে এবং কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সিমা বিবাহ বিচ্ছেদের পরে আমাকে মিথ্যা মামলার আসামি করে
মামলা করেছে এবং মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নেয়াজ বলেন, সিমা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নার্সের চাকরির আড়ালে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্পৃক্ত থাকার কথা আমি জানার পরে সিমার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং আমাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে গত ৮ মে আমার কাছ থেকে গহনার কথা বলে দুই লক্ষ টাকা নেয়। এরপর থেকে সিমার কোন খোঁজ নেই। এই ব্যাপারে সিমার মামা ইউপি সদস্য আজগরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেলে তিনি বলেন, সিমা আমার ভাগ্নি। আমি এ ব্যাপারে অনেকটাই জানি। সীমা ও তার পরিবারের অতিরিক্ত লোভের কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে আমার মতামত।
আমি চাই এটার ন্যায় বিচার হোক। আমি সব সময় ন্যায়ের পক্ষেই থাকবো। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে সীমার সাথে
একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তিনি তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ করে রেখেছেন। এ বিষয়ে কারো সাথে কথা বলতে রাজি নন তিনি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.