- কিশোরগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৬৯ শতাংশ জমি উদ্ধার - November 7, 2024
- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে কিশোরগঞ্জে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য র্যালি - November 7, 2024
- ৭নভেম্বার ঐতিহাসিক মহাবিপ্লবের নাম - November 7, 2024
রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলাকে শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার প্রেসকাবের ভিআইপি হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আলপনা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান সাবু বলেন, শর্তের বেড়াজালে এবারের বৈশাখী মেলাকে আবদ্ধ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে বাঙালি তথা দেশীয় সংস্কৃতিকে লালন-পালন ও উপস্থাপন করতেই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় কোন ধরনের অশ্লীল, অনৈতিক ও ধর্মীয় অনুভ’তিকে আঘাত লাগে এমন কোন কার্যকলাপ হয়নি। এছাড়াও মেলায় অতীতে কোন ধরনের লটারী, র্যাফেল ড্র, ভ্যারাইটি শো, সার্কাস ইত্যাদি প্রদর্শিত হয়। মেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে যেমন খুশি তেমন সাজো, চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি, হাতের সুন্দর লেখা, রচনা প্রতিযোগিতা, দেশাত্মবোধক নৃত্য ও লোকনৃত্য, লোকক্রীড়া, ঘুড়ি ওড়ানো, লাঠি খেলা, লোক সঙ্গীত, দেশাত্ববোধক গান, একক অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতা, আলোকচিত্র এবং দেওয়াল পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এটি শুধু আলপনা সংসদের মেলা নয় এটি মূলত একটি সাংস্কৃতিক উৎসবও বটে।
তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে বৈশাখী মেলা ৭দিন ব্যাপী হয়ে আসলেও এ বছর ৪ দিন ব্যাপী করতে ২১টি শর্তপূরণ সাপেক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি প্রদান করা হয়। তবে রোববার থেকে মেলা শুরুর একদিন পূর্বে শনিবার অনুমতি প্রদান করে প্রশাসন। ২১ টি শর্তের মধ্যে বেশ কয়েকটি শর্ত একদিনে পূরণ প্রায় অসম্ভব। ৩৮ বছরের আলপনা সংসদের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলাকে জেলা প্রাসন ও পুলিশ প্রশাসন এবার কঠিন শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ করার প্রকারান্তরে বন্ধ করারই পাঁয়তারা করছেন। তাদের এই তৎপরতা মূলত বাঙালি সংস্কৃতির সুস্থ ধারার বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করছে। তাই এ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা শর্তের বেড়াজাল ভেঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা, লালন-পালন ও বিকাশের লক্ষ্যে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রেসকাব সভাপতি মনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু, নির্বাহী সদস্য ও সাপ্তাহিক সংগ্রামী বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব মো: আব্দুল লতিফসহ সংগঠনের বিভিন্ন সদস্য ও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.