রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ব্যাংক লেনদেনে বিশেষ সতর্কতা

সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
ডাকাতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের উপজেলা পর্যায়ের ৬টি শাখায় লেনদেন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর থেকে এসব শাখার লেনদেন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংকের জিএম (দক্ষিণ) সাইফুল আজিজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুটি গাড়িতে করে মোট ৩০-৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল এ ডাকাতিতে অংশ নেয়।
একইসঙ্গে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ১৯টি এবং খাগড়াছড়ির ৯টি শাখায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সতর্কভাবে লেনদেন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা ১টার দিকে বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রুমায় সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল।
বান্দরবান শাখার সোনালী ব্যাংকের এজিএম মো. ওসমান গণি জানান, কয়েকজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুরো থানচি বাজার ঘিরে ফেলে এবং ব্যাংকের সামনে এসে গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে চলে যায়।
থানচি উপজেলার ইউএনও মো. মামুন জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে। তবে কৃষি ব্যাংক থেকে কত টাকা লুট করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
ডাকাতির শিকার হওয়া সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক ভুক্তভোগী আরমান বলেন, আমি ভেতরে ছিলাম, ডাকাতরা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনসহ আমার সঙ্গে থাকা সব টাকা নিয়ে গেছে।
বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.