সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
বান্দরবানে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ (কাবিটা) প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা টিআর-কাবিটা প্রকল্পের কোনো কাজ ঠিক মতো করছেন না। প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক বরাদ্দ নিয়ে এসে লুটপাট করে খাচ্ছেন। যে পরিমাণ বরাদ্দ তার অর্ধ ভাগ টাকা দিয়েও যদি কাজ করা হতো তাতে কিছুটা হলেও রাস্তাগুলো ভালো থাকতো। কিন্তু তারা প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
দুযোর্গ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিভাগের রুমা উপজেলায় বরাদ্দকৃত একটি প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে দেখতে গেলে, ছান্দালা পাড়া ঝিড়ি মুখ থেকে মুয়ালপি পাড়া যাওয়ার পথে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দের সম্পূর্ন টাকা উত্তোলন হয়ে গেলেও রাস্তা সংস্কার কাজের কোন নাম চিহ্ন দেখা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুয়ালপি পাড়া হতে ছান্দালা ঝিড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য সাড়ে ৫ মে.টন বরাদ্দ দেয়া হয়। এ প্রকল্পের সভাপতি ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার উম্রানু মারমা। তিনি রাস্তার সংস্কার কাজের ভূয়া ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে পুরো বিল উত্তোলন করেন।
তবে এ বিষয়ে উম্রানু মার্মা এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ প্রকল্পে সভাপতি তিনি নিজে, তবে তাকে নামে মাত্র সভাপতি রাখা হয়েছে। পুরো বিল উত্তোলন করার পর পরই পাইন্দু ইউনিয়র চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা সব টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মূলত বলতে গেলে এ প্রকল্পটি ওনার (চেয়ারম্যান)। ফাইনাল বিল উত্তোলনের পর চেয়ারম্যান আমাকে তার বাসায় ডেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা যাতায়াতের খরচ ধরিয়ে দিয়েছেন। এর বেশি কোন কিছু দেয়নি।
এদিকে পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রকল্পের সভাপতি উম্রানু মার্মাকে (মহিলা মেম্বার) ২৭ হাজার টাকা দিয়েছিলাম তবে তিনি কাজ করেছেন কিনা তা আমার কাছে অজানা।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহরিয়ার মাহমুদ রনজু এর সাথে এসব বিল উত্তোলনের বিষয়ে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে কাজের ছবি ও ভিডিও দেখিয়েছিল তাই আমরাও বিশ্বাস করে প্রকল্পের কাজ তদন্তে না গিয়ে পুরো বিলের অনুমোদন দিয়ে ফেলেছি। তবে এ ধরনের কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, প্রকল্পের কোন অনিয়ম বা কাজ না করে পুরো বিল উত্তোলনের ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্তে গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Latest posts by সম্পাদনা: এস.এম আব্দুর রাজ্জাক (see all)
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.