শান্তির পথে হাঁটছে কেএনএফ: শান্তি বৈঠকে নিজেদের পোষাকে প্রানবন্ত উপস্থিতি

সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
নিজেদের পোষাকে প্রানবন্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাদের যে পোষাক আষাকের একটি পৃথক রূপ রয়েছে। তা তুলে ধরাই ছিল শান্তির পথে হাঁটছে কেএনএফ। পাহাড়ে নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সরাসরি বৈঠক শুরু হয়েছে। রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে মুনলাই পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, কেএনএফের তিনজন সহ-সভাপতিসহ ১০ সদস্য, নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠককে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ওই এলাকায়। সেনাবাহিনী-বিজিবি-পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা সদস্যরা সেখানে পাহারা দিচ্ছেন। এর আগে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে বেশ কয়েকবার ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করলেও এই প্রথম তারা সরাসরি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে।
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির কাছে কেএনএফ ছয় দফা দাবি দাওয়া পেশ করেছে। এসব দাবি দাওয়া এবং কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন।
গত বছরের আগস্ট থেকে কেএনএফ পাহাড়ে তৎপরতা শুরু করে। এদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ ২২ জন নিহত হয়। কেএনফের ১৭ সদস্যকে আটক করা হয়। এই সশস্ত্র সংগঠনটির সাথে নতুন গজিয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিদ্দাল শারক্বিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গিদের টাকার বিনিময়ে কেএনএফ প্রশিক্ষণ দিতো বলেও অভিযোগ ছিল। কেএনএফের এই তৎপরতায় বান্দরবানে পর্যটন শিল্পের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বান্দরবানের কয়েকটি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয় প্রশাসন থেকে। পাহাড়ে চলমান এই সংঘাত নিরসনে গঠিত শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে এই প্রথম কেএনএফ সরাসরি বৈঠকে বসেছে।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.