টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈরান নদীতে ব্রিজ ও বিদ্যালয়ের এক অংশ বিলিন

এস.এম.আব্দুর রাজ্জাক
মনে হল বাতাসেই ভেঙে গেলো আমাদের সেতুটি। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল এলাকাবাসীর। এ সুখ যেন কপালে সইলো না। হটাৎই ভেঙে পড়ায় অবস্থায় বেরীপুটল কয়রা পশ্চিম পাড়া সেতু। এলাকাবাসী ক্ষোভ এখন চরমে। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের বেরীপুটল ও কয়রা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বৈরান নদীর উপর নির্মিত হয় সেতুটি। সেতুটি পূর্বপার ভেঙে পরাসহ ও নিচের অংশের মাটি ভেঙে নদীতে বিলিন হওয়ার কারনে বেরীপুটল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক অংশ আজ বৈরান নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মুসলিম মানুষের ঈদ গা মাঠ ও বেরীপুটল কয়রা রাস্তাটি নদীতে বিলিন হওয়ার পথে। আশপাশে থাকা কয়েক বাড়ী ইতি মধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল এর সহযোগিতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মানুষ মিলে ব্রিজটির পূর্ব পারে বাশের পাটাতন দিয়ে মানুষ পারা পা হচ্ছে। জানা যায়, ব্রিজটির এক অংশ ভেঙে পরায় ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরার মত অবস্থা। এলাকাবাসী জানান, নানা অনিয়মের মাধ্যমেই সেতুটির নিমার্ণ কাজ শুরু হয়েছিল। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সেতুটি নিমার্ণ করায় অনিয়মের কথা বলার সাহস পায়নি কেউ। এছাড়াও সেতুটির নির্মাণের পরপরই সেতুর নিকট থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়। যার কারণে গত কিছু দিন আগে সেতুটি হটাৎ করেই পূর্ব অংশ ডেবে যায়। সেতুটির নিচের গার্ডার ও পাটাতনে ফাটল ধরে। স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, তোতা মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটির র্পূব অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। নানা অনিয়মের মাধ্যমেই সেতুটির নদীর অংশ হতে নদী খরণ করার কারনে আজ ব্রিজটির ভেঙে পরে। ভেঙে যাওয়ার সময় মনে হলো সেতুটি বাতাসেই ভেঙে পড়লো। এখন পাড়াপাড়ের জন্য ২০ গ্রামের মানুষজনের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ার পথে। এতে করে আমাদের ভোগান্তির সীমা থাকবে না। অপর বাসিন্দা মমতা বেগম, খাদিজা বেগম ও শাহিনা আক্তার বলেন, এতো টাকা ব্যায়ে যারা নদী খরণ করে মাটি কেটে রাস্তা বানিয়েছিল সেই রাস্তার মাটি আজ অন্যে মানুষের বাড়ীঘর। স্থানীয় মানুষের দাবী অতিদূত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.