গোয়াইনঘাটের সারী নদীতে চার বছরে ৪০ কোটি টাকার বালু লুট মুকবুলসহ ৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

 মো.দুলাল হোসেন রাজু জৈন্তাপুর(সিলেট) প্রতিনিধি:

জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের শেওলারটুক বাওয়ন হাওড় গোয়াইনঘাট উপজেলার আনন্দ বাজার থেকে বুধিগাও হাওড় গ্রাম সংলগ্ন খেওয়াঘাট পর্যন্ত‘সারী নদী থেকে অবাধে চলছে বালু লুট। বালুখেকোরা গত ৩/৪ বছর থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বালু লোপাট করে নিয়েছে।

বালু সিন্ডিকেটের চক্রের ৬ সদস্যর বিরুদ্ধে পরিবেশ ধ্বংসের মামলা দায়ের করা হয়েছে।গত ৩/৪ বছরে ওই সিন্ডিকেট জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাওয়ন হাওড় ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বুধিগাও হাওড় আনন্দ বাজার থেকে বুধিগাও খেওয়াঘাটের মূখ পর্যন্ত সারী নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বসত বাড়ী,নদী ভাঙ্গন ও পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকায় নির্বিচারে ড্রেজারমিশিন দিয়ে ৪০কোটি টাকার বালু লুট করে পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে অভিযোগ করা হয়েছে।৩০অক্টোবর দুপুরে সিলেটের উপ-মহা পুলিশ পরির্দশক (ডিআইজি) জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বুধিগাও হাওড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত হায়দার আলীর ছেলে মুনসুর আলী।

পরিবেশ অধিদপ্তর’ অভিযোগটি গ্রহন করে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট টীমের তথ্য অনুযায়ী সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার বুধিগাও হাওড় সংলগ্ন আনন্দ বাজার থেকে শেওলা খালের মুখ পর্যন্ত যান্ত্রিক উপায়ে ড্রেজারমেশিন সাহয্যে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ভাঙ্গার আশংকা তৈরী হয়েছে। অবৈধ ড্রেজারমেশিনের দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে সারী নদী ও নদীর তীরবর্তী এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার মারাত্নক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত-২০১০,শব্দ দুষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা,২০০৬এর পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে আগামী ৬ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে সকাল ১০ ঘটিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটে’র কার্যালয়ে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।অভিযোগে আসামি করা হয়েছে বাওয়ন হাওড় গ্রামের আওলাদ মিয়ার ছেলে মুকবুল মিয়া, মুকবুল মিয়ার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত জামাল উদ্দিন’র ছেলে মো.হাফিজ উদ্দিন,ছায়েদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আরজান আলীর ছেলে আব্দুল হাইসহ অঞ্জাত নামা আরো ১০/১৫ জনকে।উল্লেখ্য এর আগে গত ২৭সেস্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে মুকবুল গংদের বিরুদ্ধে শেওলারটুক গ্রাম সংলগ্ন সারী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিকার চেয়ে সিলেটের উপ-মহা পুলিশ পরির্দশক(ডিআইজি),জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন,শেওলারটুক গ্রামের মৃত জিয়ার উদ্দিন’র ছেলে গণ মাধ্যমকর্মী মো.দুলাল হোসেন রাজু অভিযুক্তরা শেওলারটুক,বাওয়ন হাওড় গ্রামের লোকজনের বসতবাড়ি,মসজিদ,কবরাস্থান ধ্বংস করে নির্বিচারে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ৩০কোটি টাকার বাল লুট করেছে।তিনি উল্লেখ করেন- গত ২৭ সেপ্টেম্বর সারী নদীতে অবৈধ বালু লুটপাট বন্ধে সিলেটের উপ-মহা পুলিশ পরির্দশক (ডিআইজি),জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার কাছে অভিযোগ দায়ের’র পর থেকেই অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় মিথ্যা মামলা-হামলার ভয় দেখাচ্ছে,এলাকায় সশস্ত্র মহড়া অব্যাহত রেখেছে। তারা দেশী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।

গত২৫-০৮-২৩ ইং তারিখে বাওয়ন হাওড় গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিন,র ছেলে মুজিবুর রহমান মুজিব জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের লাইনম্যান পরিচয়দানকারী চোরাচালান নিয়ন্ত্রণকারী ও বালুর নৌকা থেকে থানা পুলিশের পরিচয়ে চাদাবাজির প্রতিবাদ করায় আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়।এবিষয়ে ২৬-০৮-২৩ ইং মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি জৈন্তাপুর মডেল থানার ডায়েরী নং ১১৯৬।মুজিবুর রহমান’র বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান আমাকে নানা ভাবে চাপ দিতে থাকে। জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাচালান ও বালু উত্তোলন বিষয়ে ফেইসবুকে ভিডিও
পোষ্ট ও সংবাদ পরিবেশন করায়,জৈন্তাপুর থানার ওসি মো.তাজুল ইসলাম বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে দুষ্কৃতকারীদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন মামলার আসামী করার চেষ্টা করছে বলে শোনতেছি।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.