কুড়িগ্রামে বিচারপ্রার্থীদের জন্য আদালত প্রাঙ্গনে বিশ্রামাগার উদ্বোধন

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম 
কুড়িগ্রামে আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর (ন্যায়কুঞ্জের) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান।
উদ্ধোধনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান বলেন, দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে বিশ্রামাগার নির্মান করা হচ্ছে। আগামী দু–তিন মাসের মধ্যে সব জেলায় ন্যায়কুঞ্জ হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।তিনি যোগ করেন, ‘প্রধান বিচারপতি বিচারপ্রার্থীদের জন্য প্রয়োজন অনুভব করে বিষয়টি (বিশ্রামাগার) প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলার পরপরই তিনি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একনেকের বৈঠকে ন্যায়কুঞ্জের অনুমোদন দিয়েছেন। গত বছরের আগস্টে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে নির্মিত বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করেন।এর পর থেকে সারা দেশে প্রতিটি আদালত অঙ্গনেই ন্যায়কুঞ্জ হচ্ছে।’


এই বিশ্রামাগারে বিচারপ্রার্থীদের বসার জন্য আসন, নারী–পুরুষ পৃথক শৌচাগার, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও একটি করে দোকান থাকবে।এছাড়া থাকবে ব্রেস ফিডিং কর্ণার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. আলমগীর কবির, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির শিপন, পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন, সিনিয়র আইনজীবী কে এস আলী আহমেদ, কুড়িগ্রাম আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট শামসুল হক সরকার প্রমুখ ।
উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত কনফারেন্স কক্ষে কুড়িগ্রামে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা সমূহ, বিশেষ করে পুরাতন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা সমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রæত নিষ্পত্তির জন্য মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।
জানাযায় (বিচারপতির সফর সঙ্গী সহকারী রেজিষ্ট্রার আকরামুল ইসলাম), দেশের ৬৪ জেলায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের জন্য ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার কার্যক্রম চলছে। ‘ক’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন হবে এক হাজার বর্গফুট। আর ‘খ’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন হবে ৮০০ বর্গফুট।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.