ঈদ হবে না জামালপুরের ইজিপিপি প্রকল্পের কয়েক হাজার শ্রমিকের।। দেওয়ানগঞ্জ পিআইও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ

মোহাম্মদ আলী।।
সামনে ঈদ। এছাড়া নির্ধারীত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ইজিপিপি ও ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পে কর্মরত হতদরিদ্র শ্রমিকরা তাদের মজুরি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তারা চেয়ারম্যান মেম্বারদের বাড়ি ঘর ঘেরাও করছেন। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার তাগিদ দিয়েও বিল উত্তোলন করতে পারছেন না চেয়ারম্যান মেম্বাররা। একারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন শাখার কর্মকর্তার গাফিলতিকে দায়ী করে লিখিত অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান মেম্বাররা।
শনিবার , দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রকল্প বাস্তবায়ন শাখার কর্মকর্তা বিরুদ্ধে কর্তব্য পালনে গাফিলতি ও প্রকল্প কাজে নানা হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার ভুক্তভোগী চেয়ারম্যানরা।
রোববার, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি, পাররামরামপুর ও চর আমখাওয়া ইউনিয়নের ইজিপিপি এবং ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পের শ্রমিকরা বলেন, আমরা হতদরিদ্র দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। দিন আনি দিন খাই অবস্থা। তারপরও ৭৬ দিনেও আমরা মজুরি পাইনি। এছাড়া আছে আগের বকেয়া। বেঁচে থাকার তাগিদে আমরা ঋণ ধার করেছি। তাছাড়া সামনে ঈদ। এ অবস্থায় আমরা বাঁচি কি করে? আর আমাদের ঈদই বা হবে কি করে?
চুকাইবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান বলেন, সময় পার হওয়ার পরও মজুরি না পাওয়ায় ইজিপিপির শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা আমাদের ঘর বাড়িতে এসে উঠছে। অন্যদিকে আমরা বার বার তাগিদ দিয়েও বিল উত্তোলন করতে পারছি না। তাই, অগত্যা আমরা অভিযোগ করেছি।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন শাখার কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ হউক। অভিযোগ হলেই ভালো। আমারও জামালপুরে চাকুরি করার আর ইচ্ছা নাই।
পাশের উপজেলা বকশিগঞ্জে বিল হয়েছে কি না? জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, মোঃ মজনুর রহমান বলেন, সারা দেশের ৭টি জেলা নিয়ে ইজিপিপি প্লাস পাইলট প্রকল্প চলছে। যার কোনোটাতেই বিল হয়নি।

 

এব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কামরুন্নাহার শেফা বলেন, চেয়ারম্যানরা বিল দিতে দেরি করেছেন তাই, বিল পেতে দেরী হয়েছে। তারপরও ইজিপিপি বকেয়া বিল প্রদান করা হয়েছে, প্লাসের বিলও ঈদের আগে পেয়ে যেতে পারে আশা করছি

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.