নান্দাইলে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ধস্ নেমেছে

 

হাফেজ শাহ্ মিজান তালুকদার হারুন
নান্দাইল ময়মনসিংহ থেকে
ময়মনসিংহের নান্দাইলের ইউনিয়ন পর্যায়ে মাত্রাতিরিক্ত ও দ্বারাবাহিক লোডশেডিংয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
প্রায় প্রতিদিনেই অধিকাংশ সময় লোডশেডিং থাকে নান্দাইলে। এজন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষহতে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কর্তৃপক্ষের সাথে যতবারেই যোগাযোগ ও জিজ্ঞাসা করাহয় ততবারেই নানান অজুহাত তথা এক ধরনের উত্তরি পাওয়া যায়। এইভাবেই চলছে বছরের পর বছর, সারাদেশে বিদ্যুৎ’র উন্নয়ন হলেও নান্দাইলের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কোন রকম উন্নতি হচ্ছেনা।

উন্নতির হিসাব একটাই গত ৩০বছরের তুলনায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগে এই দশবছরে হাজার হাজার গ্রাহকবেড়ে এখন লক্ষাদিক গ্রাহক হয়েছে।
কিন্তু চাহীদার অনুপাতে বিদ্যুৎ সর্বরাহ না থাকায় অতিরিক্ত ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা। বাচ্ছাদের লেখাপড়ার সময় সন্ধারাতে বিদ্যুৎ মিলেনা মাসে প্রায় ২৭দিন। এতেকরে এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় রীতিমত ধস্ নেমেছে। সকাল ও সন্ধায় কারেন্ট না থাকায় ওরা পড়ার টেবিলে বসার সুযোগও পায়না।

সন্ধার পর ও সকাল বেলার বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে বাচ্ছাদের লেখা-পড়া ঘর-বাড়ি থেকে উদাও হয়ে যাচ্ছে। বয়সে একটু বড় ছেলেরা এসুযোগে ঘুরাফিরাসহ বকাটেপনায় লিপ্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতে অভিভাবকগণ অসহায় ও দিশেহারা। আলোর অভাবে ধস নেমেছে পড়া-লেখায়, ধ্বংশ হচ্ছে শীক্ষার্থীদের জীবন, সর্বনাশে জাতি।

নান্দাইলে দিনে ২৪ঘণ্টার মধ্যে ৮/১০ঘণ্টা কারেন্ট থাকেনা। মাসে ৭২০ঘণ্টার মধ্যে নান্দাইলের ইউনিয়ন পর্যায় বিদ্যুৎ থাকে বড়জোড় ৩০০ ঘণ্টার মতো।
তাও মানুষের চাহীদা/প্রয়োজন মতোনা, অফিসের মর্জিমতো। মাসে ২৭দিনেই সন্ধায় বিদ্যুতের আলোজ্বলেনা, ভোরেও দেখা হয়না অনেকদিন।
ফলে মাসে তিনদিনও বাচ্ছারা ভালভাবে পড়া-লেখা করার সুযোগ হয়না।
এদিকে রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছের ডাল-পালা কাটার অজুহাতে সকাল-সন্ধা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখাহয় মাসে ৫/৭দিন। এলাকাবাসি এ অবস্থার পরিবর্তন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ’র দাবি জানান।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.