স্বামীর প্রথম বিয়ে ভেঙে দেয়ার অভিযোগে মুখ খুললেন হংসিকা

গত বছরের শেষের দিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী হংসিকা মোতওয়ানি। দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সঙ্গী ও বন্ধু সোহেল কাঠুরিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন তিনি। জয়পুরের মুনডোটা ফোর্ট অ্যান্ড প্যালেসে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা।

 

 

 

ভারতীয় একাধিক গনমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হংসিকার স্বামী সোহেলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০১৪ সালে রিঙ্কি নামে এক নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তবে তা স্থায়ী হয়নি। বিয়েবিচ্ছেদ হয় দুজনের। এমনও জানা যায়, সেই রিঙ্কির বন্ধু ছিলেন হংসিকা।বিয়ের ডকু সিরিজ ‘লাভ শাদি ড্রামা’তে নিজের জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্য তুলে ধরেন হংসিকা।

আর সেখান থেকেই জানা যায় যায় তাদের প্রেম ও বিয়ে নিয়ে যাবতীয় সকল গল্প। আর অভিনেত্রী তার স্বামীর প্রথম বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন; এমন তথ্য যখন সামনে আসে তখন নেট দুনিয়ায় অভিনেত্রীকে ঘিরে শুরু হয় কটাক্ষ। তার কারণের সেই বিয়ে ভেঙে যায় বলে কটাক্ষের তীর আসে অভিনেত্রীর দিকে।এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোহেল ও রিঙ্কির বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে হংসিকা জানান, এক্ষেত্রে তার কিছুই করার ছিল না।

 

 

 

এই অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, ‘আমি সেই সময় ওই ব্যক্তিকে (সোহেল কাঠুরিয়া) চিনতাম মানেই যে আমার কারণে ওদের বিয়ে ভেঙেছে, এটা সঠিক নয়। এক্ষেত্রে আমার কিছু করার ছিল না। কারণ আমি সেই সময় পাবলিক ফিগার। সাধারণ মানুষের পক্ষে আমার দিকে আঙুল তুলে আমাকে দোষী বানিয়ে দেয়া খুবই সহজ একটা কাজ। তারকা হওয়ায় সেই দাম আমাকে চোকাতে হয়েছে।’

 

 

এসময় হংসিকাকে সমর্থন করে তার স্বামী সোহেল বলেন, ‘আমার প্রথম বিয়ের প্রসঙ্গ যখন সামনে আসে, তা সম্পূর্ণ সঠিকভাবে আসেনি। বলা হচ্ছে, হংসিকার জন্য আমার প্রথম বিয়ে ভেঙেছে। যা একেবারেই সঠিক নয়। ২০১৪ সালে আমার প্রথম বিয়ে হয়েছিল। যা খুব কম দিনের জন্য স্থায়ী ছিল। কিন্তু যেহেতু আমরা বন্ধু ছিলাম, তাই হংসিকা আমাদের বিয়েতে উপস্থিত থাকার অনেক ছবিই সামনে এসেছিল। আর সেটাই এখন ছড়িয়ে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে।’

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.