ধনবাড়ীতে ৫৬ বছর পর প্রতিপক্ষের দখলে থাকা জমি‘র ধান কর্তন ভুক্তভোগী পরিবার

ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে অবশেষে জমির ভোগদখেলের চূড়ান্ত রায় পেয়ে জমিতে রোপনকৃত আমন ধান কর্তন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। দীর্ঘ ৫৬ বছর মামলা-মোদ্দমার চালানোর পর তাঁরা এ রায় পান। উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের ঝোপনা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম, হুমায়ূন আহমেদ, খলিলুর রহমানরা গতকাল নিজেদের লাগানো পাঁকা ধান কেটে এ জমির ভোগদখলে যান। তাদের সাথে একই গ্রামের মৃত ওসমান মন্ডল, মজিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমানদের এ বিরোধ চলে আসছিল।

 

ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুশুদ্দি ইউনিয়নের ঝোপনা মৌজার ৪০৩ ও ৪০৬ সাবেক দাগ (বর্তমান ৯৩৮ ও ৯৩৯)সহ অন্যন দাগে ৪ একর ১৬ শতাংশ জমি ২০০৭ সালে টাঙ্গাইলের আদালত ভূক্তভোগীকে পরিবারকে ভোগ দখলে চূড়ান্ত রায় প্রদান করে। যা এই সালে কোর্ট কমিশনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে জমি ঠোল পিটিয়ে দখল বুঝিয়ে দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতের আদেশ অমান্য করে  উক্ত জমি দখর করে রাখেন। এনিয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একাধিকবার শালিসী বৈঠক হলেও প্রতিপক্ষ  অমান্য করেন । এমন অবস্থায় জমিতে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ভূক্তভোগী  ধান রোপন করে আর সেই ধান  এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ভূক্তভোগী পরিবাররা গতকাল সকালে জমির ধান কর্তন করেন।

 

 

ধান কর্তনের সময় উপস্থিত ছিলেন, মুশুদি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দোলাল হোসেন, মহিলা ইউপি সদস্যের পক্ষে তাঁর স্বামী আমিনুল ইসলাম খোকন, মাতাব্বার আসলাম হোসাইন শরাফত আলীসহ অনেকেই।
ইউপি সদস্য দোলাল হোসেন বলেন, ‘জমিটি নিয়ে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক আদালতে ১৯৬৬ সালে মামলা দায়ের হয়। জমি নিয়ে যেনো আর বিরোধ না হয় উভয় পক্ষকে নিয়ে শিগগরই বসে আলোচনা করা হবে।’

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুশুদি ইউপি চেয়ারম্যান আবু কাউসার বলেন, ‘এটা দির্ঘ বছরের বিরোধ ছিল। জমির মালিকরা ধান কর্তন করেছে। অতিদ্রুত এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে  মিমাংসার ব্যবস্থা করা হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.