প্রধান শিক্ষক আবতাবুজ্জামানের আর এক রুপ ফুটে উঠেছে

সামসুজ্জামান সুমন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) ঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের সয়রাগন্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবতাবুজ্জামানের আর এক রুপ ফুটে উঠেছে।
জানাগেছে তিনি মাগুড়া এম আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থায় মোটা অংকের অর্থ নিয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে ২০১৪ সালে সবুজ নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার কোন ব্যক্তি জানেন না। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানে নোটিশ বোর্ডে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা না দিয়ে নিয়োগ গোপন করেছেন তিনি। কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়োগ পরিক্ষায় উপস্থিত দেখিয়ে তার মনমতো প্রার্থীকে বাচাই করে নিয়োগ প্রদান করেন। পরে নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ হলে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে অন্যত্রে প্রধান শিক্ষক আবতাবুজ্জামান বদলি নেন।
এলাকাবাসীরা জানান অত্র বিদ্যালয়ে কখন নিয়োগ হয়েছে আমরা জানিনা। কি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে সেটাও জানিনা। কোন মাধ্যমে আমাদেরকে বলেও নাই। নোটিশ বোর্ডে দিলেও জানতে পারতাম। সেটাও করে নাই। আমরা কি জানতে পারিনা। আমাদের কি অধিকার নাই জানার। পরে শুনতে পারি দপ্তরী কাম প্রহরী পদে সবুজ ইসলাম নামে একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
দপ্তরী কাম প্রহরী সবুজ বলেন আমার নিয়োগের ব্যাপারে টাকা প্রধান শিক্ষকসহ সবাই নিয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,ভাই মুই গরিব মানুষ দিনে আনং দিনে খাং। কোন রকম মোর একনা ছেলেক ম্যাট্রিক পড়াছুং। টাকার জন্যে আর পড়বার পাও নাই। ছোয়া কোনার খুব আশা চাকরী করবে। শুনের পাছনুং ওই স্কুলত নাকি লোক নিবে। যেয়া কনুং মোর ছোয়া কোনাক নেওয়া যায়না। তখন মোক কইল টাকা আছে ৫ লাখ। টাকা ছাড়া হইবি না। কোনটে পাইম এইতলাক টাকা কনতো। টাকা নাই দেখি মোর ছেলে কোনার চাকরী হইলোও না। যায় টাকা দিছে তার চাকরী হইছে।
সবুজ ইসলামের নিয়োগের সময় তৎকালীন সভাপতি মোক্তার হোসেন লাভলু এর সাথে মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কাজে ব্যস্ত আছি পরে কথা বলেন। এই বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.