সংসদ বর্জনের ঘোষণা জাতীয় পার্টির

জাতীয় সংসদ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। রওশন এরশাদের পরিবর্তে জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দলটির সংসদ সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দেবেন না।

 

রবিবার বিকালে জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদীয় দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জাতীয় পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদে যাবেন না। বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

এ ব্যাপারে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংসদীয় দল জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করেছে। কিন্তু স্পিকার দুই মাসেও তাঁকে স্বীকৃতি দেননি। স্পিকারের কার্যালয় বলছে, রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা। জিএম কাদের আমাদের নেতা। আমরা তাহলে কার নেতৃত্বে সংসদে যাবো?’

 

 

থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ দলীয় নেতৃত্ব থেকে জিএম কাদেরকে সরাতে গত ৩১ আগস্ট চিঠিতে তিনি নিজেকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ঘোষণা করে জাপার ‘কাউন্সিল’। একে অবৈধ আখ্যা দিয়ে রওশন এরশাদকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করে পরেরদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিনকে চিঠি দেয় জাপার সংসদীয় দল। দলটির ২৬ এমপির ২৪ জন জিএম কাদেরকে সমর্থন জানালেও এখনও বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে জিএম কাদের স্পিকারের স্বীকৃতি পাননি। জাপার তাগিদে গত দুই মাসে স্পিকারের কার্যালয় থেকে একাধিকবার জানানো হয়েছে, বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

রবিবার সংসদীয় দলের সভায় উপস্থিত জাপার ২১ এমপি ফের জি এম কাদেরকে সমর্থন দেন। সভার পর জাপা মহাসচিব সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালেও সংসদ বর্জনের আভাস দেননি। তখন তিনি বলেন, স্পিকারের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় রয়েছেন। সোমবার সংসদ অধিবেশনে এ বিষয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।

 

 

জানা গেছে, সংসদের বৈঠক শেষে আজ সন্ধ্যায় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় পার্টির নেতারা। সেখানে জি এম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা করার বিষয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চান তাঁরা। আলোচনায় তাঁরা ধারণা পেয়েছেন, এ বিষয়ে স্পিকারের কাছ থেকে শিগগিরই ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির সদস্যরা আর সংসদে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.