টুইটারে নিষিদ্ধ ট্রাম্প বললেন, ‘মাধ্যমটি বুদ্ধিমানের হাতে এলো, আমি খুশি’

টুইটারে ফেরার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘ইলনকে আমি পছন্দ করি, তবে আমি ট্রুথেই থাকছি

২০২১ সালের শুরুর দিকে ইউএস ক্যাপিটলে আক্রমণ চালানোকে কেন্দ্র করে টুইটারে নিষিদ্ধ করা হয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এরপর থেকে তিনি নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম “ট্রুথ সোশাল” ব্যবহার করছেন।

 

 

টুইটারে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সময় সেব সমালোচনামুখর ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।

 

 

অনেক নাটকীয়তা শেষে টুইটার ইলন মাস্কের টুইটার কেনার পর টুইটারে ফেরার বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “ইলনকে আমি পছন্দ করি, তবে আমি ট্রুথেই থাকছি।”

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

“অ্যাকাউন্টে ফিরে আসা বা এলেও টুইটারে আর কখনো পোস্ট করবেন কি-না” এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি ট্রাম্প।

 

 

তার বলেছেন, “তিনি যখন নিজের প্ল্যাটফর্মে কিছু পোস্ট করেন, তা এমনিতেই অন্যান্য জায়গায় চলে যায়। টুইটার ও অন্যান্য জায়গায় যারা আছেন, তারা সবাই এমনিতেও সেখানে এগুলো দিয়ে দেন।”

এর আগে মাস্কের টুইটার কেনার খবরের পর নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প বলেন, “তিনি খুশি যে টুইটার এখন ‘বোধসম্পন্ন ব্যক্তির হাতে’ আছে। মাধ্যমটি এখন দেশবিরোধীদের হাত থেকে মুক্ত। তাদের নতুন চ্যালেঞ্জ জাল অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা।”

এদিকে ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করার কথা জানান। তারা হলেন- প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সেগাল এবং টুইটারের আইনি নীতি, নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডে। ব্যবসায় ব্যাপকভাবে অবদানের জন্য এই তিন কর্মকর্তাকে ধন্যবাদও জানান টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিজ স্টোন।

টুইটার কেনা নিয়ে ইলন মাস্ক ও টুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা কাদা ছোড়াছুঁড়িও হয়েছে। এ বছরের এপ্রিলে ৪,৪০০ কোটি ডলারে অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কেনার চুক্তি করেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা সিইও ইলন মাস্ক।

চুক্তির ঘোষণা দিয়ে মাস্ক এক বার্তায় বলেছিলেন, “গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। টুইটার হচ্ছে ডিজিটাল নগর স্কয়ার যেখানে মানবতার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে। আমি টুইটারকে আরও গতিশীল করতে চাই। নতুন ফিচারসের পাশাপাশি এর অ্যালগোরিদম ওপেন সোর্সে দিতে চাই। এটি আস্থা বাড়াবে, ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ করবে।”

তবে গত জুলাইয়ে টুইটার কেনার চুক্তি থেকে সরে আসেন মাস্ক। ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নিয়ে টুইটারের বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি কেনার চুক্তি বাতিল করেন তিনি। চুক্তি থেকে সরে আসায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরে অবশ্য আইনি লড়াই থেকে সরে এসে পুনরায় টুইটার কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখান ইলন মাস্ক।

টুইটারে মাস্কের নতুন আমল শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন বৈশ্বিক নেতা ও নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্ট মালিকদের নিষেধাজ্ঞা তোলার অনুরোধ আসতে শুরু করে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইটারে যেসব অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো হয়তো শিগগিরই তুলে নেওয়া হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.