নিরাপত্তা খাতে সহায়তায় মার্কিন বাধ্যবাধকতায় নীতিগত সম্মত বাংলাদেশ

নিরাপত্তা খাতে সহায়তায় মার্কিন বাধ্যবাধকতায় নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো সম্মতির শর্তাবলি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান। বৈঠকে আইন সচিবসহ, বিভিন্ন বাহিনী প্রধান ও সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আজকে দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের শর্তাবলি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরপর দেশটির সঙ্গে সম্মতি বা সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জানানো হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো কথা রয়েছে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ব্যাপারে একটা আইন আছে। সেখানে কিছু বাধ্যবাধকতার কথা এসেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়। অন্যান্য দেশও এ বিষয়ে প্রস্তুত হচ্ছে।

সচিব বলেন, ‘অতীতের কোনো রেকর্ড নয়, আগামীর সহযোগিতার জন্যই এই সম্মতিপত্র।’

গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে একটি চিঠি পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী মার্কিন অনুদানপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখতে চাইলে একটি চুক্তি সই করতে হবে বলে জানায় দেশটি। বাংলাদেশ এই চুক্তি করবে কি-না সে বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে হবে। বাংলাদেশ কোথায়, কীভাবে ওই অনুদান ব্যবহার করছে, সেটাও যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে হবে বলে চিঠিতে জানিয়েছিল ওয়াশিংটন ডিসি।

তবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে চুক্তির ব্যাপারে প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশের অনুরোধে বছরের শেষ দিন পর্যন্ত সময় বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই নিরাপত্তা খাতে অনুদান পেতে চুক্তিতে নীতিগতভাবে সম্মত হলো ঢাকা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘র‌্যাব ও এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে দরকার হলে ওয়াশিংটনে একটি ল ফার্ম নিয়োগ করা হবে।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.