লঞ্চে আগুন: সাতজনের মরদেহ হস্তান্তর

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনার ৩৭ জনের মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি।

সর্বশেষ সকালে চার বছর বয়সী জমজ দুই বোন লামিয়া ও সামিয়ার মরদেহ শনাক্ত হয়। নিহত সামিয়া ও লামিয়া বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে দাদাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

তার আগে পাঁচজনের মরদেহ শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়া সাতটি মরদেহের মধ্যে ছয়টি আজ সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি একজনের মরদেহ গতরাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে বাকি ৩০ জনের পরিচয় শনাক্ত না হলে ডিএনএন নিয়ে তাদের গণকবর দেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছলে হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়। জীবন বাঁচাতে অনেকেই নদীতে লাফিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেন। আগুনে পুড়ে ও নদীতে ডুবে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার হওয়ায় গতরাতে সেগুলো বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে সাতজনের মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৩০ মরদেহ সকাল ১১টার মধ্যে শনাক্ত না হলে সেগুলো জেলার পোটকাখালী গণকবরে দাফন করা হবে।

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে মরদেহ শনাক্ত করার জন্য স্বজনদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৭১৬৭০০২৭০ এবং ফোন নম্বর ০২৪৭৮৮৮৬২৪৮।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.