বার্ন ইউনিট বন্ধ, দগ্ধদের চিকিৎসা হচ্ছে সার্জারি ইউনিটে

বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের উদ্বোধন হয়েছে দুই বছর আগে। তখন সেখানে মাত্র একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর সেই চিকিৎসক আত্মহত্যা করলে নতুন করে আর কাউনে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরপর থেকে বন্ধই রয়েছে বার্ন ইউনিটটি। এর ফলে গতরাতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় হাসপাতালটিতে আসা পোড়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে সার্জারি ইউনিটে।

শুক্রবার দেশের ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

সামন্ত লাল বলেন, ইউনিটটি চালুর সময় একজন চিকিৎসক ছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরবর্তীতে আত্মহত্যা করলে নতুন করে আর কাউকে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বার্ন চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে একাধিকবার প্রচেষ্টা নিলেও চিকিৎসক পদায়নে সফল হওয়া যায়নি।
চিকিৎসক না থাকায় ঢাকা থেকে বিমান যোগে চারজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা. সামান্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে পোড়া রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। সকালে ঘটনা শোনার পর ঢাকা থেকে সড়কপথে বার্ন ইউনিটের চারজন চিকিৎসককে বরিশাল পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়কপথে ফেরি পারাপারসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাদের ফ্লাইটযোগে বরিশাল পাঠানো হবে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন-সংলগ্ন নদীতে লঞ্চটিতে আগুন লাগার ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন দুই শতাধিক লঞ্চযাত্রী। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের তালিকাটা লম্বা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.