যেসব যোগব্যায়ামে দূর হয় দুশ্চিন্তা

করোনাভাইরাস মহামারি ও এর প্রভাবে অনেকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে যদি আমরা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করতে থাকি তাহলে এই ফল মারাত্মক হতে পারে। এতে আমাদের নিজের প্রতি বিশ্বাস, কর্মক্ষমতা কমে যাবে। পাশাপাশি শারীরিক অসুবিধা যেমন হজমের সমস্যা, মাথা ব্যথা বাড়তে থাকবে। তাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সময়ানুবর্তিতা, নিজেকে সময় দেওয়া, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে ধ্যান দেওয়াও জরুরি।

নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে কাজের চাপ, সংসার সামলানোর চাপ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যোগব্যায়ামের কিছু বিশেষ ভাগ রয়েছে এগুলো নিয়মিত করতে পারলে একেবারে সুস্থ থাকা যায়।

প্রাণায়াম: আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সরাসরি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের যোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমরা যখন শ্বাস ত্যাগ করি সেই সময় এই যোগা আমাদের দেহ ও মন থেকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা মুক্ত করে দেয়। এটি একটি সুইচ হিসেবে কাজ করে যেটি আমাদেরকে শান্ত এবং নিশ্চিন্ত করে। এটি খুবই ভালো কৌশল কারণ বেশিরভাগ সময়ই আমাদের মাথা এবং আমাদের শরীর খুব চিন্তাগ্রস্থ থাকে এবং উত্তেজিত অবস্থায় থাকে। তার ফলে নিয়মিত তা অভ্যাস করতে পারলে আমাদের মাথা খুবই ঠান্ডা থাকবে যে কোন পরিস্থিতিতে। নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস এই দুটি ছন্দবদ্ধভাবে অভ্যাস করতে হবে।

মনকে স্থির করা: এই অভ্যাস বৌদ্ধরা করে থাকে। এতে বর্তমান সময়ের প্রতি চোখ বন্ধ করে সমস্ত ভাবনাকে নিয়ন্ত্রিত করা হয়। অতীত বা ভবিষ্যৎকে নিয়ে কোনো ভাবনাই এতে স্থান পায় না। নিজের শ্বাস গ্রহণ এর উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে এটি অভ্যাস করতে হবে।

যোগ নিদ্রা: মেডিটেশনের এই পদ্ধতিতে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি না। কিন্তু আমরা ঘুমানো এবং জেগে থাকার মধ্যবর্তী যে অবস্থা সেই অবস্থায় থাকি চোখ বন্ধ করে। অর্থাৎ যোগ নিদ্রা হল সচেতনতার সাথে ও সতর্কতার সাথে শুয়ে থাকার একটি উপায়। আপনি পুরোপুরি ঘুমান না এবং পুরোপুরি জেগেও থাকেন না। যদিও এটি সকালবেলায় বা অন্য যেকোন সময় করলে ভালো হয় তবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারাও বিছানায় শুয়ে করতে পারেন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.