- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে মসজিদে ২০ জনের বেশি মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন না। সরকারের এই নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর বেশ কয়েকটি মসজিদে নামাজ আদায়ে ২০ জন মুসল্লির তালিকা করেছে মসজিদ কমিটি। এই তালিকা নিয়ে মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ২০ জন হওয়া মাত্রই মসজিদের গেট বন্ধ। রমজানের প্রথম তারাবিতে মসজিদে প্রবেশ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক মুসল্লি। এ সময় মসজিদের গেট বন্ধ থাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় শুরু করেন তারা। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মাগরিবের নামাজের পরে রামপুরা, হাজীপাড়া, মালিবাগের বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে মসজিদের সামনে মুসল্লিদের এমন অভিযোগ করতে দেখা যায়।
বেশ কয়েকজন মুসল্লির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে আগ্রহী। যারা আগে মসজিদে প্রবেশ করবেন তারাই নামাজ পড়বেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মসজিদ কমিটি নিজেরাই ২০ জন মুসল্লির তালিকা তৈরি করছেন। যেখানে এলাকার অন্য মানুষ মসজিদে এসে নাম পড়া থেকে বঞ্ছিত থাকছেন।
৬৫ বছর বয়সি রামপুরা ওয়াপদা রোডে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে আগ্রহী এক মুসল্লি বলেন, ৪০ বছর জামায়াতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করছি। আমি সাধারণ মুসল্লি। এখন মসজিদে গিয়ে শুনছি মসজিদ কমিটি যাদের নাম লিপিবদ্ধ করে দিয়েছে, তারাই শুধু নামাজ পড়তে পারবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই ব্যক্তি বলেন, ঠিক আছে আমরা সরকারের নির্দেশনা মানবো। কিন্তু মসজিদে যে আগে প্রবেশ করবে তাকে নামাজ আদায় করতে সুযোগ দিতে হবে।
মালিবাগের একটি মসজিদের এক খাদেম বলেন, আগেই নাম বুকিং হয়ে গেছে। ২০ জনের বেশি লোক নিয়ে নামাজ পড়ানো নিষেধ আছে সরকারের।
করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজানে তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়ে, মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নেবেন। তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন এবং জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.