কক্সবাজারে হোটেল দখলে নিতে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

পর্যটন শহরের কলাতলীতে একটি আবাসিক হোটেল দখলে নিতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। হোটেল-মোটেল জোনের সৈকত পাড়াস্থ ‘স্বপ্ন রিসোর্টে’ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারিরা ৬ লাখ ৭০ হাজার নগদ টাকা ৪টি দামি মোবাইল সেট লুট করেছে। পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় হোটেলে। এসব উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। হামলা ও লুটপাটে প্রায় ১৮লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।

স্বপ্ন রিসোর্টের ভাড়াটিয়া মালিক আফসানুর রেজা বলেন, জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ এক নেতার ইন্ধনে দীর্ঘদিন ধরে হোটেলটি দখলে নিতে চেষ্টা করছিল একটি চক্র। এরই জেরে আমিন নামের একজন জেল ফেরৎ মাদক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে গত একমাস আগে কয়েকবার দলবল নিয়ে আমাকে হোটেল ছাড়তে হুমকি দিয়ে গেছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবগত করেছিলাম।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালে হোটেল বন্ধের সুযোগে মঙ্গলবার দুপুরে ৫০-৬০ জন নারী পুরুষের সংঙ্ঘবদ্ধ দল বন্দুক, ধারালাে অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হোটেলে হামলা চালায়। তারা আমার শার্টের কলার ধরে টানা হেছড়া ও এলােপাথারি প্রহার ও বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাতে জখম করে। জাতীয় ডিজিটাল সেবা-৯৯৯ এ কল দেয়ার পর কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ এসে জিম্মিদশা থেকে আমিসহ আমার কর্মচারীদের উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে নিয়ে যায় পুলিশ। হামলাকারীরা রিসাের্টের এলইডি, রুমের দরজা, সিসি ক্যামেরা, ডেকস্টপ ভাংচুরের পাশাপাশি প্রায় ৭ লাখ নগদ টাকা ও ৪টি দামি মোবাইল সেট লুট করে।

এ ঘটনায় সৈকত পাড়ার নাছির উদ্দিন (৩২), লাইটহাউজ পাড়ার সাদেক হােসেন খােকা (৪২), পানবাজার এলাকার মনজুর আলম প্রঃ ফেরেতা মনজুর (৫০) ও মােহাম্মদ এনাম প্রঃ এনাম ডাকাতসহ (৩৪)১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা মহিলা ও পুরুষ ২০-৩০ জনকে আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজহার দেয়া হয়েছে বলে জানান রিসোর্টের মালিক রেজা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে একটি এজাহার পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, এ ঘটনায় কেউ আটক নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.