বার বার নিষিদ্ধ হয়েছে আল জাজিরা

বার বার বানোয়াট আর বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্প্রচার করে দেশে দেশে নিষিদ্ধের শিকার হয়েছে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা। বিদ্বেষমূলক সংবাদ পরিবেশন করে নিন্দা কুড়াচ্ছে এই গণমাধ্যমটি।

১৯৯৬ সালে আত্মপ্রকাশ আল জাজিরার। কাতার ভিত্তিক ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেলটি একের পর এক বিতর্কিত সংবাদ সম্প্রচার করে আলোচনা এসেছে। দেশে দেশে নিষিদ্ধের তালিকাতেও পড়েছে।

২০০০ সালের মে মাসে বাহরাইনের সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন করে প্রথম রোষের স্বীকার হয় আবর দুনিয়ার গণমাধ্যমটি। ওই নির্বাচনকে ইহুদিদের ‘পৃষ্টপোষকতার নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করায় বাহরাইনে সম্প্রচার নিষিদ্ধ হয় আল জাজিরার।

২০০৪ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করে মার্কিন সেনা নিয়ন্ত্রিত ইরাকের অন্তর্বতীকালীন সরকার। সেসময় আলজাজিরার বিরুদ্ধে দেশটিতে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।

আরেক দফায়, ২০১৩ সালে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে ইরাক সরকার নিষিদ্ধ করে আল জাজিরা।

২০১১ সালে মিশরে বিক্ষোভের সময় দেশটির সরকার আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধের নির্দেশ দেয়। এসময় উগ্রবাদী ইসলামপন্থীদের মদদ দেয়াসহ নানা অভিযোগ আনা হয়নি চ্যানেলটির বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবারো সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয় আল জাজিরার।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় বিদ্রোহীদের পক্ষে প্রতিবেদন তৈরি করায় বিতর্কে পড়ে আল জাজিরা। আন্দামান দ্বীপ ও জম্মু-কাশ্মীরকে বাদ রেখে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্র তুলে ধরার কারণে ২০১৫ সালের এপ্রিলে ৫ দিনের জন্য আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে ভারত।

২০০৮ সালের জুলাইতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে এক বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া সামির কান্তারকে নিয়ে একটি প্রোগ্রাম সম্প্রচার করে আল জাজিরা। চারজন ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করা ওই ব্যক্তির জন্মদিন নিয়ে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করায় ইসরায়েল সরকার চ্যানেলটিকে বয়কট করে। সূত্র: ডিবিসি নিউজ

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.