চাঁদপুর মতলব দক্ষিনে তেল চুরির ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকে হত্যার চেষ্ঠা

স্বাধীন বাংলা নিউজ টিভি নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রাউন সিমেন্ট পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক থেকে অবৈধভাবে তেল বিক্রি করছিল গাড়ির চালক। আর এই তেল চুরির ভিডিও ধারণ করা হামলার শিকার হয়েছেন স্বাধীন বাংলা নিউজ টিভির স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক একুশে বানীর পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক তপছিল হাসান । গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় মতলব পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের পৈলপাড়া নুর হোসেনের দোকানের সামনে পলিকল্পিত ভাবে তেলচুরায় কারবারি নজু ও তাহার দুই সন্তান মিলে এই ঘটনাটি হামলার ঘটনাটি ঘটান ।তেল চোরাই কারবারি নজু হাতে হামলার শিকার সাংবাদিক তপছিল হাছান বর্তমানে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, মতলব বাবুরহাট পেন্নাই সড়কের মতলব পৌর এলাকায় জ্বালানি তেল সিলিন্ডার গ্যাস ও দীর্ঘদিন ধরে চোরাই ভাবে চাঁর টাকা কমে বিভিন্ন গাড়ির ড্রাইভার দের কাছ থেকে কিনে ৭ শাত টাকার বেশি মূল্যে চোরাই তেল বিক্রি করেন এবং সাথে মুদি মালের ব্যবসা করে আসছেন নজরুল ইসলাম ওরফে তেলচুরা কারবারি নজু। লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই তেল ও সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করে আসছে সে। ঘটনার সময় ক্রাউন সিমেন্টের চাঁদপুর জেলার ডিলার মোশারফ হোসেনের ট্রাক চালক বিপ্লব ওই দোকানে অবৈধভাবে তেল বিক্রি করছিল।

আর এই তেল বিক্রির ভিডিও ধারণ করেন সাংবাদিক তপছিল হাছান। পরবর্তীতে গাড়ির চালকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে দোকানদার নজরুল ইসলাম ও তার বড় ছেলে ফয়েজ বাধা দেয়। আর এই সুযোগে চালক তার গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। চোরাই তেল বিক্রির বিষয়ে দোকানদারকে সাংবাদিক তপছিল হাছান প্রশ্ন করলে তারা অশোভন আচরণ করেন এবং এই ফাঁকে ফয়েজ তার ছোট ভাই ফরহাদ কে ডেকে আনেন। পরে তারা অতর্কিতভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেলের সামনে থাকা স্পেলিংএর এসএসসের ফাইভ দিয়ে পিঠে ও মাথায় আঘাত করিলে রক্তাক্ত জখম করে।

পরবর্তীতে সাংবাদিক তপছিল হাছান বলেন, গাড়ি থেকে তেল বিক্রি করার বিষয়টি আমি ভিডিও ধারণ করেছিলাম। পরবর্তীতে ওই চালকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তারা বাপ ছেলে আমার সাথে তর্ক বাঁধে এবং দোকানে থাকা স্টিলের এসএসসের মোটা ফাইভ দিয়ে আমার পিছন দিকে আঘাত করে।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং সাংবাদিক তপছিল হাছানের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন : আমার এক অফিসার হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত খবর নিচ্ছে এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিবো তাদের কে কোডে পেরন করা হবে বলে জানান।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.