মধুপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কামরুলের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ

মধুপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কামরুলের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ–টাঙ্গাইলের মধুপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-আঞ্চলিক শাখার অফিস সহকারী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার ভর্তি বাণ্যিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মধুপুর কম্পিউটার এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সম্পাদকের লিখিত অভিযোগের বিবরণী থেকে জানা যায়, মধুপুরে যে সকল শিক্ষার্থী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান হতে অনলাইনে আবেদন করেন সেসকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শুধুমাত্র অফিস সহকারী কামরুল এর মাধ্যমে অথবা তার নির্ধারিত আইটি প্রতিষ্ঠান হতে আবেদন করে না তাদের আবেদন ফরম পরবর্তীতে বাতিল করা হয়। অফিসে গিয়ে এর প্রতিকার চাইলে কামরুল ইসলাম তাদেরকে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে।

যেহেতু উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইন সিস্টেম, সেহেতু বিভিন্ন কম্পিউটার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ করেন। এটাই বর্তমান সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিগত অনলাইন সেবা। যাতে প্রত্যেকেই যার যার সুবিধামত সময়ে নিজের জায়গা থেকে কিংবা বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হতে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারে। ঠিক সেই সুবিধাজনক সময়ে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, মধুপুর উপ-আঞ্চলিক অফিসের অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম তার সহযোগীদের নিয়ে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের উল্টো পথ দেখাচ্ছেন এবং নির্ধারিত ভর্তি ফি এর চেয়ে অনেক বেশী টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। তারা শিক্ষার্থীদেরকে অফিস অথবা তাদের নির্ধারিত কম্পিউটার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত আবেদন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে ভয়ভীতি দেখান। ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বাইরে আবেদন করতে চাইলে আবেদন বাতিল হবে, টাকা পেমেন্ট হবে না, ভর্তি বাতিল হলে আমরা দায়ী না ইত্যাদি নানারকম হুমকি দিয়ে থাকেন শিক্ষার্থীদের, এমনকি তাদের এ ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের নিকট নির্ধারিত ভর্তি ফি’র অতিরিক্ত টাকা জমা দিতে বলেন। এতে করে অনেক অসহায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পরে যান। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার মত দুর্নীতি খুবই ন্যাক্কারজনক একং হয়রানি মূলক।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মধুপুর উপ-আঞ্চলিক অফিস এর অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম এবং তার সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ না করে যে সকল শিক্ষার্থীরা যথা নিয়মে আবেদন ফরম পূরণ করে সেগুলো তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এমতাবস্থায় যে সকল শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে তার মাধ্যমে আবেদন করেছেন তাদের আবেদন শতভাগ সঠিক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। যার শতভাগ তথ্যপ্রমাণ মধুপুর কম্পিউটার এসোসিয়েশন এর নিকট সংরক্ষিত আছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবী করেন।

মধুপুরে যে সকল আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করেছে সেসকল আইটি প্রতিষ্ঠানের পূরণকৃত অনলাইন আবেদন ফরম কামরুল ইসলাম বাতিল করেছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও আবেদন বাতিল হওয়ার ভয়ভীতি দেভিয়ে অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অঙ্কে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইটি ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম সার্টিফিকেট বিক্রি, বই নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টাকা আদায়, ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করে অন্য ব্যক্তির নামে মধুপুর শহরে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন।

এ ব্যাপারে অফিস সহকারী কামরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.