কারো সঙ্গে কথা বলেন না সেই ছাত্রী, কাঁদেন নীরবে

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেও স্বাভাবিক হতে পারেননি চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার শিকার সেই কলেজছাত্রী। এখনো কেঁদে চলেছেন নীরবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসচালক ও হেলপারের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা। সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ওই ঘটনায় বাসচালক শহীদ মিয়াকে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেয়া কলেজছাত্রীর মা বলেন, বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আমার মেয়ে বাসায় ফিরেছে কিন্তু স্বাভাবিক আচরণ করতে পারছে না। যে মেয়ে সবসময় হাসি-খুশি থাকত, সে এখন নীরব হয়ে শুধু কাঁদে। কারো সঙ্গে ঠিকমতো কথাও বলে না। আমার মেয়ের মুখের হাসি যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই। তাদের এমন শাস্তি দেয়া হোক, যাতে আর কোনো মেয়েকে এ ধরনের হয়রানির শিকার না হতে হয়।

২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগরে অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে একা হয়ে পড়েন তিনি। ওই সময় চালক ও হেলপার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পুলিশ বাসটি উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় বাসচালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, সিআইডি নানা কৌশলে বাসচালক শহীদ মিয়াকে সুনামগঞ্জ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করেছে। তাকে এখন ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এর আগে, ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ওই বাসের হেলপার রশিদ আহমদকে ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয়।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.