ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীআমরা ৫জি চালু করার কার্যক্রম শুরু করেছি

এস.এম আব্দুর রাজ্জাক

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, টেলিটক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক। এই খাত ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি ডিজিটাল অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরাট অবদান রাখছে। সামনের দিনে এই ডিজিটাল মহাসড়কই সকল সমৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। তিনি বলেন আমরা ৫জির জন্য পুরোই প্রস্তুত। তবে জনগণের বিদ্যমান প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ডিজিটাল সংযোগের বেইসলাইন হিসেবে ৪জি সম্প্রসারণের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের প্রতি তিনি জোরদার ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের স্পেকট্রাম প্রস্তুত আছে। ২জি, ৩জিসহ ৪জি-৫জি যে ভার্সনেই ব্যবহার করার প্রয়োজন আমরা তা দিতে প্রস্তুত।

মন্ত্রী শনিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকায় সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এবং মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বেগবান করতে টেলিযোগাযোগের ভূমিকা শীর্ষক ওয়েবিনার সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টেলিকম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসীনুল আলম, অ্যামটব সভাপতি ও রবি‘র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন, বাংলালিংকের সিইও এরিক অ্যাস এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা আবুল কাশেম মোঃ শিরিন বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের প্রযুক্তি হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী ডিজিটাল প্রযুক্তি। বিদ্যমান প্রযুক্তি দিয়ে সামনে এগুনোর সুযোগ নেই। এরই ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তির উদ্ভাবনের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। সামনের দিনটা সামগ্রীক একটা রূপান্তরের দিন, সমগ্র জীবনের রূপান্তর। টেলকো হচ্ছে হাইওয়ে। এর ওপর ভিত্তি করেই পরের সভ্যতার বিকাশ ঘটবে। তিনি বলেন, ভয়েস কল ও ডেটার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি করোনাকালে মানুষ উপলব্ধি করেছে। যে গ্রামের মানুষ একসময় ইন্টানেটের প্রয়োজনীয়তার কথা কল্পনাও করতো না সেই গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুটিও এখন ইন্টারনেট চায়। সেই কারণে মোবাইল অপারেটরদের বলছি, জনগণের কাছে যাওয়া প্রয়োজন, প্রত্যন্ত গ্রামটিতেও ফোর জি পৌঁছে দেওয়া দরকার। তিনি ফাইভ জি বিকাশের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা ৫জি চালু করার কার্যক্রম শুরু করেছি। ফাইভ জি’র ওপর শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিকাশ নির্ভর করবে। ফাইভ জি’র ওপর নির্ভর করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বেসরকারি পর্যায়ে টেলিযোগাযোগ খাতের বিকাশে সরকারের সহযোগিতার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি এই খাতের বিকাশে কতিপয় চ্যালেঞ্জের কথা জানান।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.