বাঘায় স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে স্বামী বিষপানে আত্বহত্যার চেষ্টা

বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে স্বামী বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার ১২\০১\২০২০ইং সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার হিজলপল্লী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে লিটন আলী (৩০) প্রায় ৭ মাস আগে ফরিদপুরের শলতা থানার কামাদিয়া গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে ফাল্গুনী খাতুনকে (২২) বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের সাংসার ভালো চলছিল। হটাৎ ফাল্গুনী খাতুনের মত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ নিয়ে চলছে এলাকায় গুনজন।
তবে ফাল্গুনী খাতুনের পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে চেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে তারা আরো দাবি করছে এটা চাপা দেয়ায়র জন্য ফাল্গুনী খাতুনের লাশ হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে স্বামী লিটন আলী বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফাল্গুনী খাতুনের স্বাশুড়ী বেজিজান বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে তারা ভালো চলছিল। সংসারে কোন অশান্তি নেই। তাদের মধ্যে সম্পর্কও ভালো। তারা দুইজনে মিলে শনিবার বাঘা বাজার থেকে একটি সুকেস কিনে আনে। কি হতে কি হয়ে গেলো বুঝতে পারছিনা। এদিকে ছেলের বৌ এর মৃত্যুর পরপর লাশ হাসপাতালে রেখে বাড়িতে গিয়ে আমার ছেলেও বিষ পানে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফাল্গুনী খাতুনের পিতা ফারুক হােসেন জানান, শনিবার জামাই আমাকে ফোন করে বলেন, আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। উত্তরে বলি অনেক দুরে আছি, কালকে এসে মেয়েকে নিয়ে আসব। কিন্তু তার আগেই মেয়ে লাশ হয়ে গেলো। তিনি আরো জানান, আমার মেয়েকে তারা হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে চেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা এটাকে চাপা দেয়ার জন্য মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানার পর লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্মে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা না, আত্মহত্যা ময়না দন্তনের রিপোট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। তারপরও এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.