আসাম-বাংলা রেল চালুর স্বপ্ন দেখছে নাগেশ^রীÑ ভূরুঙ্গামারী ফুলবাড়ী উপজেলাবাসী

 

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধনকালে সময় ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথ চালুর ঘোষণা দেওয়ায় আসাম-বাংলা রেল চলাচলের স্বপ্ন দেখছে কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীÑ ভূরুঙ্গামারী ।

ভারতের সেভেন সিস্টার্সখ্যাত সাতটি রাজ্যের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হতে পারে এ রেলপথটি।

জেলার নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রেলপথটি আবার চালু করা হোক।

জানা যায়, ১৮৮৭ সালে তৎকালীন নর্দান বেঙ্গল রেলওয়ে ও আসামের সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ রেলপথ চালু করা হয়। আসামের ধুবড়ি জেলার গোলকগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে অবস্থিত সোনাহাট রেলস্টেশন, পাটেশ্বরী রেলস্টেশন, ভূরুঙ্গামারী রেলস্টেশন অতিক্রম করে ভারতের বামনহাট, নিউ গীদালদহ ও গীদালদহ রেলস্টেশন হয়ে একটি পথ ভারতের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে। অন্য পথটি বাংলাদেশের মোগলহাট দিয়ে লালমনিরহাটসহ দেশের অভ্যান্তরে চলে যায়।

এলাকাবাসী মনে করে, সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন পর্যন্ত মাত্র ৪০ কিলোমিটার রেলপথ স্থাপিত হলেই তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ রেলের সুবিধা পাবে।

সোনাহাট রেলস্টেশন থেকে জয়মনির হাট (ভূরুঙ্গামারী স্টেশন) পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। অন্যদিকে ভূরুঙ্গামারীর শিংঝাড় থেকে ফুলবাড়ী হয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধরলা সেতুর ওপর দিয়ে লালমনিরহাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সংযোগ করলে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পুরনো রেলপথটি চালু করা সম্ভব। সোনাহাট স্থলবন্দরে প্রস্তাবিত ইমিগ্রেশন চালু হলে এ পথে স্বল্প সময়ে আসাম, পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে পারবে বাংলাদেশিরা। একই সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিকিম, আসাম, অরুণাচল, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম রাজ্যে যাত্রী ও পণ্য পারাপার সহজ হবে; প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের।

কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর বলেন, ‘এ দাবি আমার নির্বাচনী এলাকার সব মানুষের প্রাণের দাবি। এটি বাস্তবায়নের জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। ’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.