সামনে এলো নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য, ডিসি আগেই জানতেন ভিডিও প্রকাশ হবে!

নিজস্ব প্রতিবেদন
জামালপুরের ডিসি ও তার অফিস সহকারীর গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার পর এখন দেশে তোলপাড় চলছে। এই ঘটনার জেরে ওএসডি করা হয়েছে সেই ডিসিকে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এদিকে এই ভিডিও যে প্রকাশ হতে পারে তা নাকি ১২ দিন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন ডিসি। তিনি নিজেই এই দাবী করেছেন।

তিনি বলেছেন, ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীরা গত ১২দিন ধরে আমার কাছে প্রথমে ৫০০ ডলার এরপর বাংলা টাকা ১ লাখ দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। এরপর ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়া হয়।

এদিকে জামালপুরের সদ্য সাবেক জামাপুরের ডিসির নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।অন্যদিকে রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তদন্ত করে সাবেক এ ডিসি ও নারী সহকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।ফরহাদ হোসেন বলেন, আহমেদ কবীরকে এর আগে শুদ্ধাচার পদক দেয়া হয়েছিল। সেটি ফিরিয়ে নেব। যাতে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে অন্য কেউ না করতে পারে। আগামীতে ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে নৈতিকতা বিবেচনা করে নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন যুগ্মসচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমিটি ভালোভাবে তদন্ত করে, বুঝে, কী ঘটেছে সেখানে, কতটুকু অনৈতিকতা সেখানে হয়েছে- সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দেবে। সেটির ভিত্তিতে আমরা এক্সামপ্লিয়ারি একটা প্রিম্যাটিক মেজার্স নেব।প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামালপুরের ডিসি অনৈতিক কাজ করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হযেছে। অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘পাশাপাশি যে নারীর নাম এসেছে তাকেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

ডিসির অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। তিনি এখন পলাতকতিনি আরও বলেন, জেলায় একজন ডিসি অনুকরণীয় ব্যক্তি। তার কাছ থেকে এ রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ড কাম্য নয়। তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন ডিসি আহমেদ কবীর। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারা দেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।এ ঘটনায় জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে তার বদলে নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ এনামুল হককে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.