ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ৩ শিক্ষকের শাস্তি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

  নাটোর তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৩ শিক্ষককে বদলী ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন অভিভাবকরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে মত বিনিময় সভায় অভিভাবকরা এই দাবি জানান।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের দাবি, গত ২৫ আগস্ট নাটোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দিবা শিফটের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যৌন নির্যাতন করেন শরীরচর্চা শিক্ষক আব্দুল হাকিম। এই ঘটনায় ওই দিন ভুক্তভোগীর অভিভাবক বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিনের কাছে অভিযোগ করলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি।

প্রতিকার না পেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার ২৬ আগস্ট নাটোর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্ররেণ করে। আব্দুল হাকিম গ্রেফতার হওয়ার পর গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠে।

আর এই দুই শিক্ষককে মদদ দেয়া অভিযোগ উঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে করে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অভিভাবকরা। এর প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিভাবকদের সাথে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও এই ৩ শিক্ষকের শাস্তি এবং বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরির দাবি জানানো হয়। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নাটোর জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ অভিভাবকদের কাছে যৌন হয়রানীর বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তিনি অভিভাবকদের জানান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ সুপার লিটন কুমার অভিভাবকদের জানান, যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাননি। তবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ডিজি বরাবর তিনি আবেদন করেছেন।

দুই শিফটে বিদ্যালয়টিতে প্রায় দুই হাজার ছাত্রী রয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.