গোবিন্দগঞ্জে পাঁচ দিনে চার খুন চায়ের দোকানীর মারপিটে কুলি শ্রমিক নিহত

0

 

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কুলি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আকালু শেখ (৩৬)। সে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার বুজরুক বোয়ালিয়া প্রধানপাড়া গ্রামের কছের আলীর পুত্র বলে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্নস্থানে প্রতিপক্ষের মারপিটে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, গত শনিবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের হীরক মোড় এলাকায় একটি দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় চা দোকানীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চায়ের দোকানী ও কয়েকজন সহযোগী মিলে কুলি শ্রমিক আকালু শেখকে বেদম মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে সোমবার পরিবারের লোকজন আকালুকে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে দিনই সন্ধ্যায় আকালুর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন রাতে তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে এলে আকালুর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ আকালুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

এর আগে গত ১৫ আগস্ট উপজেলা দরবস্ত ইউনিয়নে এন্তাজ আলী নামের এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের মারপিটে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গত ১৮ আগস্ট রাতে উপজেলা মহিমাগঞ্জের গোপালপুর গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বে কথা কাটাকাটির জেরে ছোট ভাইয়ের ছুড়িকাঘাতে বড় ভাই ইসমাইল হোসেন (৩৫) নিহত হয় এবং একই দিন বিকেলে উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া রাহাত (১৪) নামের এক কিশোরকে পিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসব ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে একের পর এক পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে উপজেলার সচেতন মানুষের মাঝে। তাঁরা জানিয়েছেন, গত পাঁচ দিনে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় উপজেলার আইন শৃঙ্খলার অবনতির উৎকৃষ্ট উদাহরণ মনে করছেন। তাঁরা প্রশাসনকে কঠোর হস্তে আইন প্রয়োগ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান।

Leave A Reply