- কিশোরগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৬৯ শতাংশ জমি উদ্ধার - November 7, 2024
- জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে কিশোরগঞ্জে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য র্যালি - November 7, 2024
- ৭নভেম্বার ঐতিহাসিক মহাবিপ্লবের নাম - November 7, 2024
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
স্বামী মারা গেছে ২৫ বছর আগে। দেখার মতো কেউ নেই তার। বর্তমানে পুটি বালার বয়স ৭৭। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন । তারপরও ভাগ্যে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়ের পরিবারের অবস্থাও ভাল নয়।
পুটি বালার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের ছোটভাটপাড়া গ্রামে। ছোট ভাই জিতেন দাসের একটি কুড়ে ঘরে বসবাস করেন। সেখানে থেকে মাঝে মধ্যে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষা করেন।
পুটি বালার ছোট ভায়ের বউ সরলা দাস জানান, একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন কিন্তু কেউ কার্ড করে দেয়নি। সাবেক মেম্বাররা কার্ড করে দেবে বলে অনেক ঘুরিয়েছে। কিন্তু কথা রাখেনি। বর্তমান কাদের মেম্বর দু’বার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি নিয়েছে। কিস্তু এখনও কার্ড করে দেয়নি।
বৃদ্ধা পুটি বলেন, কার্ড করে দেবার কথা বলে গত কয়েক বছর আগে এলাকার এক জনপ্রতিনিধি ৩ হাজার টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু আমি টাকা দিতে না পারায় তাকে কার্ড করে দেয়া হয়নি। প্রকৃত বয়স্ক ও বিধবাদের কার্ড দেবার সরকারি নিয়ম থাকলেও পুটি বালা এখনো সেই নিয়মের মধ্যেই পড়েনি।
এ ব্যাপারে ১ নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান মিঠু জানান, বয়স্ক-বিধবা ভাতা কার্ড করার সময় আমি রাজনৈতিক মামলায় জেলে ছিলাম। আমি আগামিতে বিষয়টা দেখবো।