- বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরী করুন নিহত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জরুরী -ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল - September 19, 2024
- বান্দরবানে চেক প্রতারণায় পলাতক হেডম্যান মং থোয়াই ম্রয় - September 19, 2024
- যমুনা সারকারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী - September 18, 2024
লিটন মিয়া লাকু,গাইবান্ধা
ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত ঋতু। আবহমান বাংলার সৌন্দর্যের রাজা বলে পরিচিতি বসন্তকাল। ফালগুন-চৈত্র মাসে বসন্তের সুষ্ক আবহাওয়ায় যতদুর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমাহার। আর এরই সাথে ছড়িয়ে পড়েছে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ।
জেলার চাষ যোগ্য জমির আইল, বসতভিটায়, বিভিন্ন অফিস-আদালত চত্বরে, সরকারি বে-সরকারি পরিত্যক্ত ভূমি ছাড়াও এ অঞ্চলের অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে ছোট বড় আম বাগান গড়ে তুলেছেন। গত মৌসুমের তুলনায় এবার প্রাকৃতিক আবহাওয়ার ভারসাম্য ঠিক থাকায় সিংহভাগ আম গাছে প্রত্যাশিত মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কোন দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষি সচেতনদের অভিমত। এখনো তেমন আমের মুকুল বিনষ্টের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়নি। গাছে গাছে মুকুলের অধিক সমাহারে সবার মাঝেই বিরাজ করছে এখন ঝড় আতঙ্ক।
গত বছরের তুলনা এ বছর প্রতিটি আমগাছে এসেছে আমের মুকুল। গ্রামে গ্রামে রয়েছে আমের ছোট বড় প্রচুর আম গাছ। মুকুল আসার পূর্বে আমগাছ মালিকরা তাদের আমের গাছের যতœ নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। গাইবান্ধা জেলার সর্বত্রই মুকুল আসা আম গাছের নানামূখী পরিচর্যা নিয়ে গাছ মালিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আমগাছি জহির উদ্দিন ও মোসলেম উদ্দিন সহ আরও অনেকে জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলার কৃষিবিদরা জানান, জেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মাঠ পর্যায়ে বসতবাড়ীর চতুরপাশ ছাড়াও দন্ডায়মান আম গাছে মুকুল থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত গাছের আম যাতে কোন কারণে বিনষ্ট না হয় সে জন্য কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে এবং কুষকদের বহুমূখী পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।